পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চীন সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যেই সেখানে গেলেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। চীন তাদের সেনা সরাতে রাজি হওয়ার পর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই শুক্রবার সকালে লাদাখে পৌঁছন তিনি। এই সফরে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাথে রয়েছেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নরভনে।
এদিন সকালে লে বিমানবন্দরে পৌঁছায় রাজনাথকে বহনকারী ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমান। বিমানবন্দর থেকে তিনি চলে যান স্তাকনা এলাকায় সেনার ফরওয়ার্ড বেসে। সেখানে প্যারা ড্রপিং (আকাশ থেকে প্যারাশুটে মাটিতে অবতরণ), ট্যাঙ্ক নিয়ে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর মহড়া দেখেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সীমান্তে মোতায়েন সেনাবাহিনীর অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েও তার পরখ করে দেখেন তিনি।
দুই দিনের সফরের প্রথম দিন লাদাখে কাটাবেন রাজনাথ। ভারতীয় সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে সেখানে সেনার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকও করবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। আগামীকাল শনিবার সফরের দ্বিতীয় দিন কাটাবেন জম্মু-কাশ্মীরে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপতক্যায় ভারত-চীন সংঘর্ষে এক কর্নেল সহ ২০ জন ভারতীয় সেনা সদস্যদের মৃত্যুর পর সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করে।
এমন এক পরিস্থিতিতে জুলাই মাসের গোড়ার দিকে রাজনাথ সিং’এর লাদাখে যাওয়ার কথা থাকলেও, সেই সফর স্থগিত করা হয়। বদলে আচমকাই ৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী লাদাখ পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে গিয়ে ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা ও জওয়ানদের সাথে কথা বলেন। চীনের সাথে সংঘর্ষে আহত ভারতীয় সেনাদের সাথে হাসপাতালে সাক্ষাতও করেন মোদি। সেসময়ই লাদাখ থেকে চীনের আগ্রাসী মনোভাবের কড়া সমালোনচা করে মোদি বলেছিলেন ‘সম্প্রসারণবাদ নীতির যুগ শেষ’।
রাজনাথের লাদাখ সফরের একদিন আগে বৃহস্পতিবারই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে চীনকে কড়া বার্তা পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব স্পষ্ট করে দেন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে ভারতের অবস্থান বিন্দুমাত্র বদলায়নি। একতরফা ভাবে সেখানে স্থিতাবস্থা বদলের কোনও চেষ্টাই মানা হবে না।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন