১৪ আগস্ট, ২০২০ ১৯:৩৩

ইসরায়েল ও তার সহযোগী বিশ্বাসঘাতকদের পরাজয় অনিবার্য!

অনলাইন ডেস্ক

ইসরায়েল ও তার সহযোগী বিশ্বাসঘাতকদের পরাজয় অনিবার্য!

সংযুক্ত আরব আমিরাত ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ব্যাপারে সমঝোতায় পৌঁছেছে। মার্কিন, ইসরায়েল ও আমিরাত সরকারের যৌথ বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ২০০৬ সালে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ৩৩ দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলের পরাজয়ের বার্ষিকীতে ইসরায়েল ও আমিরাতের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণা দেয়া হল!

আরব আমিরাত এমন সময় এ ঘোষণা দিল যখন এক সময়কার অপরাজিত শক্তি অবৈধ ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্র দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে বার বার পরাজয়ের স্বাদ পাইয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ ও ফিলিস্তিনের সংগ্রামী দলগুলো এবং ইসরায়েল গত ৭২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। 

অতীতে কোনো কোনো আরব সরকার ও ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থা বা পিএলও কিছু সুযোগ-সুবিধা বা ভূমি ফিরে পাওয়ার বিনিময়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক বা আপোষ করেছিল। কিন্তু আরব আমিরাত কোনো কিছুর বিনিময় ছাড়াই ইসরায়েলকে বৈধ রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ও  সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ নিল। ইসরায়েল সম্প্রতি ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের ত্রিশ শতাংশ অঞ্চল গ্রাস করার পরিকল্পনাকেও এখনও বাতিল করেনি। তাই আমিরাতের এ উদ্যোগকে কোনো কিছু না পাওয়ার বিনিময়ে ইসরায়েলের সঙ্গে আপোষ বলে উল্লেখ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

মুসলমানদের প্রথম কিবলার দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে আরব আমিরাতের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ শতাব্দির লেনদেন বা শতাব্দির কথিত সেরা চুক্তি নামক পরিকল্পনারই অংশ বলে বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন। ইসরায়েল আশা করছে আরও আরব দেশ শিগগিরই আমিরাতের মত পদক্ষেপ নেবে এবং বাহরাইন হবে এক্ষেত্রে দ্বিতীয় দেশ।

সৌদি সরকারসহ পাশ্চাত্যের সেবাদাস আরব সরকারগুলো অনেক বছর আগ থেকেই ফিলিস্তিনি ও আরব মর্যাদার  বিষয়টিকে ম্লান করে ফেলেছে। কিন্তু এখন আমিরাতের এ পদক্ষেপ থেকে স্পষ্ট যে আরব মর্যাদা ও ফিলিস্তিন ইস্যুকে তারা পুরোপুরি ত্যাগ করেছে।

আমিরাতের ইসরায়েল-বান্ধব পদক্ষেপটি ইহুদিবাদী অপরাধযজ্ঞের প্রতি সহায়তা দেয়া ও পুরস্কার দেয়ার শামিল। পিএলও'র শীর্ষস্থানীয় নেতা সায়েব এরিকাতের মতে আমিরাত ইসরায়েলি অপরাধযজ্ঞকে পুরস্কার দিল। ইরান ও সংগ্রামী ফিলিস্তিনি দলগুলো আরব আমিরাতের এই পদক্ষেপকে ফিলিস্তিন ও গোটা মুসলিম উম্মাহর পিঠে ছুরিকাঘাত হানা তথা মহাবিশ্বাসঘাতকতা বলে মন্তব্য করেছে। ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান বলেছে, এর ফলে দীর্ঘ মেয়াদে ইসরায়েল বিরোধী শক্তিগুলো আরও শক্তিশালী হবে। 

মুসলমানদের এই প্রথম ক্বেবলা একদিন মুক্ত হবেই; সেদিন ইসরায়েলের সঙ্গে তার সহযোগীরাও বানের পানির মতো ভেসে যাবে বলে তেহরান মন্তব্য করেছে।  ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের নীতি নির্ধারণী পরিষদের সচিব মোহসেন রেজায়ি বলেছেন, নীল থেকে ফোরাত পর্যন্ত 'বৃহৎ ফিলিস্তিন' শিগগিরই মুক্ত হবে। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের মুসলিম মুজাহিদ ও ধৈর্যশীল জনগণের সাহসিকতায় অদূর ভবিষ্যতেই 'বৃহৎ ফিলিস্তিন' মুক্তি পাবে। 

রেজায়ি বলেন, কোনো সাহসী মানুষ পেছন থেকে ছুরি মারে না, সাহসীরা বিশ্বাসঘাতকতা করে না। কেবল ভীতুরাই এ কাজ করতে পারে। ভীতুরা ইতিহাস থেকে মুছে যাবে। মোহসেন রেজায়ি বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে আরব আমিরাতের শাসকেরা সেদেশকে দখলদার ইসরায়েলের জন্য স্বর্গে পরিণত করেছে। সূত্র : পার্সুটডে।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর