৯ জনকে হত্যার দায়ে জাপানের ‘টুইটার কিলার’ নামে পরিচিতি পাওয়া ৩০ বছর বয়সী তাকাহিরো শিরাইশিকের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন দেশটির আদালত। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার আগে ‘টুইটার কিলার’ তার শেষ ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তা হলো, তিনি এক সাধারণ মেয়েকে বিয়ে করতে চান। তার এই বিয়ে করতে চাওয়ার কারণ হলো- তিনি চাইছেন, মৃত্যুর আগে তাকে কেউ দেখতে আসুক।
জাপানের সংবাদমাধ্যম দ্য মাইনিচিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাকাহিরো বলেন,‘ আমাকে দেখতে কেউ আসেনি। আমি একজন সাধারণ নারীর সাক্ষাৎ চাই। আমি বিয়ে করতে চাই।’ টুইটারে যারা আত্মহত্যার ইচ্ছা প্রকাশ করতেন, বেছে বেছে তাদেরই খুন করতেন তাকাহিরো। হত্যার পর প্রমাণ লুকাতে মরদেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলতেন তাকাহিরো। এরপর বাক্সে ভরে বাড়িতেই রেখে দিতন সেগুলো।
তাকাহিরো শিরাইশির এমন হত্যাকাণ্ডের কথা পুলিশ জানতে পারে ২ বছর আগে। ২০১৭ সালে জাপানের ২৩ বছর বয়সী এক নারী টুইটারে লেখেন, তিনি আত্মহত্যা করতে চান। এরপর থেকেই নিখোঁজ হন তিনি। পরে ওই নারীর ভাই সেই টুইটার খোঁজে সন্দেহজনক এক ব্যক্তির সন্ধান পান। ওই ঘটনার পর পুলিশ তদন্ত করে তাকাহিরোকে গ্রেফতার করে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ/শফিক