প্রশান্ত মহাসাগরে বিতর্কিত একগুচ্ছ দ্বীপের কাছে জাপানের সমরাস্ত্র মোতায়েনের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে রাশিয়া।
মস্কো বলেছে, এর বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পারে রাশিয়া।
রাশিয়ার উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই রুদেনকো মঙ্গলবার এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
গতমাসে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে সেদেশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল এনএইচকে জানায়, ‘হোক্কাইডো দ্বীপে’ সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে পারে টোকিও।
হোক্কাইডো দ্বীপটি এমন একটি দ্বীপপুঞ্জ থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত যেটিকে রাশিয়া কুরিল দ্বীপপুঞ্জ বলে এবং জাপান যেটির নাম দিয়েছে উত্তরাঞ্চলীয় ভূখণ্ড। কুরিল দ্বীপপুঞ্জ জাপানের উত্তর প্রান্তে এবং রাশিয়ার পূর্বতম প্রান্তে ওখোটস্ক সাগরে অবস্থিত।
রুদেনকো বলেন, হোক্কাইডোতে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের জাপানি পরিকল্পনা রাশিয়ার জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। তিনি আরও বলেন, এ ধরনের কাজকর্ম চলতে থাকলে আমরাও রুশ সেনাবাহিনীর সামনে থাকা চ্যালেঞ্জ দূর করতে পাল্টা পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব।
রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা টোকিওর কর্মকাণ্ডকে আমাদের দেশ এবং গোটা এশিয়া-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য ভয়ঙ্কর হুমকি মনে করছি।”
কুরিল দ্বীপপুঞ্জের ওপর সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দখলদারিত্বের কারণে জাপান ও রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শত্রুতা এখনও শেষ করেনি। কুরিল দ্বীপপুঞ্জে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে সামরিক ঘাঁটি সংরক্ষণ করে এসেছে রাশিয়া এবং সেখানে রুশ ক্ষেপণাস্ত্রও মোতায়েন রয়েছে। সূত্র: রয়টার্স, ইউএসনিউজ, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট, আনাদোলু এজেন্সি, তাস
বিডি প্রতিদিন/কালাম