পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর আদিল রাজা অভিযোগ তুলেছেন, দেশের নায়িকা-মডেলদের দিয়ে রাজনীতিবিদ ও সাধারণ মানুষের জন্য ফাঁদ পাতত সেনাবাহিনী। আদিল রাজা তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওতে এই অভিযোগ করেন। সংক্ষেপে তিনি কয়েকজন অভিনেত্রীর নামও উল্লেখ করেন।
‘অভিনেত্রী, মডেল দিয়ে রাজনীতিবিদ ও সাধারণ মানুষের জন্য ফাঁদ পাতা হতো’ সাবেক মেজরের এই বক্তব্যই ঝড় তুলতে যথেষ্ট। বাস্তবে হয়েছেও তা–ই। পাকিস্তানের বিনোদন দুনিয়ার তারকারা ব্যাপকভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
আদিল রাজা তার ইউটিউব চ্যানেলে পূর্বেও এমন বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে থাকেন। সেখান থেকে ইউটিউব চ্যানেল ‘সোলজার স্পিকস’ এ তিনি বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিও তৈরি করেন।
নতুন পোস্ট করা ভিডিওতে তিনি জানান, পাকিস্তান সেনাবাহিনী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজে পাকিস্তানি মডেল-অভিনেত্রীদের ব্যবহার করেছে। তাদের মধ্যে ছিলেন এম এইচ, এম কে, কে কে, এস এ। সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা যাদের নামের আদ্যক্ষর বলেছেন, পাকিস্তানের নাগরিকদের তাদের চিনতে মোটেও দেরি হয়নি।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এম কে দিয়ে মাহিরা খান, এম এইচ দিয়ে মেহুশ হায়াত, কে কে দিয়ে কুবরা খান এবং এস এ দিয়ে সজল খানকে বুঝিয়েছেন ওই সেনা কর্মকর্তা।
আদিল রাজার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কুবরা খান। তিনি লিখেছেন, কোনো ভুয়া ভিডিও আমার অস্তিত্ব বিলীন করতে পারবে না। আমি চুপ ছিলাম, কিন্তু এখন অনেক হয়েছে। যে অভিযোগ করেছেন আপনি, তার কোনো প্রমাণ আছে আপনার কাছে? তিন দিনের মধ্যে আপনি প্রমাণ দিতে না পারলে আপনাকে ক্ষমা চাইতে হবে, নতুবা আপনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।
আরেক অভিনেত্রী মেহুশ হায়াত লিখেছেন, আমি একজন অভিনয়শিল্পী। কাদা ছুড়ে আমার নাম মুছে দেওয়া সম্ভব নয়। আপনার এই মিথ্যা অভিযোগ লজ্জার! তার চেয়ে বেশি লজ্জার, যারা এসব মিথ্যা অভিযোগ অন্ধভাবে বিশ্বাস করছেন।
সজল আলী এক টুইটে বলেছেন, এটি খুবই দুঃখজনক যে আমাদের দেশের নৈতিক অবক্ষয় হয়েছে। অন্যের চরিত্র হনন করা জঘন্যতম অপরাধ। সূত্র: এনডিটিভি
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল