‘মোদি’ পদবী মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর শাস্তি কমাতে দায়রা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কিন্তু সেখানে স্বস্তি না মেলায় এবার গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন।
চলতি সপ্তাহে মামলার শুনানি হতে পারে। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন রাহুল গান্ধী।
রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের নিন্দায় সরব হয় বিজেপি। এরপর মন্তব্যের জন্য সুরাটের একটি আদালতে কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে একটি মানহানি মামলা দায়ের করেন বিজেপির এক সদস্য। এ ঘটনার প্রায় চার বছরের মাথায় গত ২৩ মার্চ 'মোদি' পদবী মামলায় রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করেন সুরাটের ফৌজদারি আদালত।রাহুল গান্ধীকে ২ বছরের কারাদণ্ডের শাস্তি দেন আদালত। যদিও এই রায়কে কংগ্রেস নেতা চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন বলে জানিয়েছিলেন ফৌজদারি আদালতের বিচারক। এর জন্য রাহুলকে এক মাস সময় দেন তিনি। ফৌজদারি আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে গুজরাটের দায়রা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি।
ফৌজদারি আদালতের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারির আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু গত ১৩ এপ্রিল সেখানে জোর ধাক্কা খান তিনি। স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়। এরপরেই উচ্চ আদালতে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল কংগ্রেস।
সেই মতো মানহানির মামলার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে গতকাল মঙ্গলবার গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাহুল গান্ধী। হাইকোর্টেও ধাক্কা খেলে, সেক্ষেত্রে রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারবেন রাহুল গান্ধী।
এদিকে, 'মোদি' পদবী মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়ায় রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করে দিয়েছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। একই সঙ্গে ছেড়ে দিতে হয়েছে তার জন্য বরাদ্দ সরকারি বাংলো।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত