ইউক্রেন পুনর্গঠনে ৬০ বিলিয়ন ইউরো দেয়ার অঙ্গীকার করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। তবে জার্মানির উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী স্ফেনিয়া শুলৎসে বলছেন, এই কাজে রাশিয়াকে অর্থ দিতে একদিন বাধ্য করতে হবে।
ডয়চে ভেলেকে স্ফেনিয়া শুলৎসে বলেন, তারা যা ধ্বংস করেছে তা ঠিক করার জন্য অর্থ দিতে হবে। এটাই আন্তর্জাতিক আইন।
লন্ডনে অনুষ্ঠিত ‘ইউক্রেন রিকভারি কনফারেন্স'-এ অংশ নেন তিনি। ৬০টির বেশি দেশের প্রতিনিধি এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সম্মেলন শেষে ৬০ বিলিয়ন ডলারের অঙ্গীকার পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। এর মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলার দিচ্ছে ইইউ। যুক্তরাষ্ট্র ১.৩ বিলিয়ন ডলার দেয়ার পরিকল্পনা করছে, যা ইউক্রেনের জ্বালানি ও অবকাঠামো খাতে খরচ করা হবে। যুক্তরাজ্য ৩০৫ মিলিয়ন ডলার দিতে চেয়েছে। এছাড়া জার্মানি ত্রাণ সহায়তা হিসেবে ৩৮১ মিলিয়ন ইউরো দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এছাড়া গুগল, সিমেন্স, ভোডাফোন, ভার্জিন গ্রুপ ও রোলস রয়েসসহ ৪২ দেশের প্রায় ৫০০ কোম্পানিও সহায়তার অঙ্গীকার করেছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি।
ইউক্রেন পুনর্গঠনে ৪১১ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন বলে গত মার্চে জানিয়েছিল বিশ্বব্যাংক।
জার্মানির উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী শুলৎসে বলেন, ইইউর সদস্য হতে আবেদন করেছে ইউক্রেন। সে কারণে দেশটিতে এখন বিনিয়োগ করা আকর্ষণীয় ব্যাপার, কারণ ইউক্রেন সদস্যপদ পেলে বড় বাজার ধরার সুযোগ পাবেন বিনিয়োগকারীরা।
ইউক্রেনে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী কোম্পানিদের ঝুঁকি কমাতে কিছু নিশ্চয়তা দেয়া যায় কিনা, তা নিয়েও লন্ডন সম্মেলনে আলোচনা হয়েছে। নির্দিষ্ট কিছু শর্ত মানা জার্মান কোম্পানিগুলোর জন্য এ ধরনের ব্যবস্থা ইতিমধ্যে জার্মানিতে আছে বলে জানান শুলৎসে। সেটা সফল হচ্ছে। অন্যদের জন্য তা উদাহরণ হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শিমেহাল সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ইউক্রেন পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়ে গেছে। আমরা যুদ্ধ শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি না বলে জানান তিনি।
এদিকে, পুনর্গঠন কাজে রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ কাজে লাগানোর অনুমোদন দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিমেহাল।
পরবর্তী ইউক্রেন রিকভারি কনফারেন্স ২০২৪ সালে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত