জার্মানিতে একশটিরও বেশি ই-৭এ ওয়েজটেইল নজরদারি বিমান পাঠাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানেজি।
সোমবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, রয়্যাল অস্ট্রেলিয়ান এয়ার ফোর্সের নজরদারি বিমানগুলো ইউক্রেনের সহায়তায় কাজ করবে। তবে সেগুলো ইউক্রেন, রাশিয়া বা বেলারুশের আকাশসীমায় প্রবেশ করবে না, কোনোভাবে যুদ্ধেও অংশ নেবে না।
তিনি আরো জানান, অস্ট্রেলিয়ায় তৈরি হওয়া বিমানগুলোর কাজ হবে শুধু ইউক্রেনে নির্বিঘ্নে সামরিক ও মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়ার বিষয়টি তদারক করা।
অস্ট্রেলিয়ায় তৈরি হলেও ই-৭এ ওয়েজটেইল আসলে জার্মান প্রযুক্তির বিমান। গত মার্চে জার্মানির সামরিক সরঞ্জামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রাইনমেটাল অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য কুইন্সল্যান্ডে এই বিমানের উৎপাদন শুরু করে। উৎপাদন শুরুর তিন মাস পর সেই বিমানই জার্মানিতে রপ্তানির চুক্তি করলো অস্ট্রেলিয়া।
সোমবার জার্মানির রাজধানী বার্লিনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনের সহায়তায় ব্যবহারের জন্য জার্মানিতে এ বিমান পাঠানোর বিষয়ে কথা বলেন অ্যান্থনি অ্যালবানেজি। জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসও তখন তার পাশে ছিলেন। একই দিনে ই-৭এ ওয়েজটেইল রপ্তানির বিষয়ে এক বিলিয়ন ডলার (৯১০ মিলিয়ন ইউরো)-র এক চুক্তিও স্বাক্ষর করেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
আকাশ থেকে সারভেইল্যান্স, অর্থাৎ তদারকের কাজে ই-৭এ ওয়েজটেইল খুব কার্যকর, কারণ, এতে রয়েছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন দূরপাল্লার রাডার। মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এমএইচ৩৭০ ফ্লাইটের বিমান অনুসন্ধানেও এই বিমান ব্যবহার করা হয়েছিল।
সূত্র : ডয়চে ভেলে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত