সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে চীনের ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে তাইওয়ানের নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন চীন বিরোধী ডিপিপির ভাইস প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে। তিনি সেখানে উইলিয়াম লাই নামেও পরিচিত।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী লাই চিং-তে জয়ী হয়েছেন। তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে আসছে ডিপিপি। শনিবার দেশটিতে আট ঘণ্টার ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
তার বিজয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বেইজিং। চীনের স্টেট কাউন্সিলের তাইওয়ান বিষয়ক দপ্তর বলেছে, তাইওয়ানের নির্বাচনের ফলাফল ‘মাতৃভূমির পুনর্মিলনের অপ্রতিরোধ্য প্রবণতা’ থামাতে পারবে না।
মুখপাত্র চেন বিনহুয়াকে উদ্ধৃত করে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, লাই যে ৪০ শতাংশ ম্যান্ডেট পেয়েছেন এবং আইনসভা নির্বাচনে তার ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টির (ডিপিপি) যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে, তা দ্বীপের মূলধারার জনমতের প্রতিনিধিত্ব করে না।
তাইওয়ান ইস্যু সমাধান এবং জাতীয় পুনর্মিলন অর্জনে আমাদের অবস্থান ধারাবাহিক ও অটল রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রভাব বিবেচনায় এবারের তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এ নির্বাচনকে যুদ্ধ ও শান্তির মধ্যে বিকল্প বেছে নেওয়া বলে মনে করছে চীন। ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো প্রত্যক্ষ ভোটে তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। এর পর থেকে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ধরে রেখেছে তাইওয়ান।
নির্বাচনে জয়ের পর প্রতিক্রিয়ায় লাই বলেন, চীনের ক্রমাগত হুমকি এবং ভীতি থেকে তাইওয়ানকে রক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি তাইওয়ান প্রণালিতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখবেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্রে একটি নতুন অধ্যায় লেখার জন্য আমি তাইওয়ানের জনগণকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা বিশ্বকে দেখিয়েছি যে আমরা গণতন্ত্রকে কতটা লালন করি। এটি আমাদের অটল অঙ্গীকার।’
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল