রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কথিত মেয়ে লুইজা রোজোভা বর্তমানে প্যারিসে বসবাস করছেন। পেশায় তিনি একজন ডিজে। তবে তিনি পুতিনের মেয়ে হিসেবে প্যাট্রোনিমিক নাম ‘ভ্লাদিমিরোভনা’ ব্যবহার করেন না। ২১ বছর বয়সী এই তরুণী লুইজা রোজোভা বা এলিজাভেটা ওলেগভনা রুডনোভা নামে পরিচিত।
লুইজার মা স্বেতলানা ক্রিভোনোগিখ একসময় পরিচ্ছন্নতাকর্মী ছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি মাল্টি-মিলিয়নিয়ার। যুক্তরাজ্যের দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৮৩ মিলিয়ন পাউন্ড। তার মালিকানায় মন্টে কার্লোর একাধিক বাড়ি, একটি প্রমোদতরী এবং রাশিয়ার প্রভাবশালী ব্যাংক রসিয়ার বোর্ডের সদস্যপদ রয়েছে।
ফাঁস হওয়া প্যান্ডোরা পেপারসে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ সালে পুতিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে স্বেতলানার সম্পদের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে। প্রোএক্ট নামে একটি স্বাধীন অনুসন্ধানী সংবাদ সংস্থা জানায় যে, পুতিন সেন্ট পিটার্সবার্গের মেয়র থাকার সময় তাদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়।
লুইজা রোজোভা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ছবি পোস্ট করতেন এবং নৃত্যের ভিডিও আপলোড করতেন। তবে ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর সমালোচনার মুখে তিনি তার অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দেন। অনলাইনে তাকে তীব্র ট্রোল করা হয়। তার পোস্টের কমেন্ট সেকশনে ইউক্রেনের পতাকা ইমোজি দিয়ে মন্তব্য করা হয় এবং তিনি বাঙ্কারে লুকিয়ে আছেন বলে অভিযোগ আনা হয়।
তবে রোজোভা পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন ছবির ভিত্তিতে মিল পাওয়া যেতে পারে, অনেকেই ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচের মতো দেখতে হতে পারে।
বিবিসির সাংবাদিক আন্দ্রে জাখারভ ক্লাবহাউস অ্যাপে লুইজাকে প্রশ্ন করেন, আপনার জীবন কি আমার অনুসন্ধানের কারণে প্রভাবিত হয়েছে? জবাবে লুইজা বলেন, একদমই না। বরং আমি খুশি যে লোকজন আমার সম্পর্কে জানতে পেরেছে।
লুইজা রোজোভা ও তার পরিবারের সঙ্গে পুতিনের সংযোগ নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত থাকলেও এ নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্টের কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সূত্র : এনডিটিভি
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল