২০২৩ সালে ইসরায়েলের ভূখন্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা। জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনো চলছে। ভয়াবহ এই অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৪৪ হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও ১ লক্ষাধিক।
এ জিম্মিদের মধ্যে ১০৭ জনকে গত বছর নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ঘোষিত এক অস্থায়ী বিরতিতে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। তারপর গত এক বছরে কয়েকজন জিম্মিকে উদ্ধার করতে পেরেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এসবের মাঝেই জানা গেল, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান অভিযানে এ পর্যন্ত ৩৩ জন জিম্মি নিহত হয়েছেন। উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস সোমবার জানিয়েছে এ তথ্য। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৩৩ ইসরায়েলি বন্দি প্রাণ হারিয়েছেন। গাজায় যে মাত্রার ধ্বংসযজ্ঞ চলছে, তাতে তাদের দেহাবশেষও আর পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
কবে কতজন জিম্মি নিহত হয়েছেন সেই তালিকাও প্রদান করেছে হামাস। সেটি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে ২০২৩ সালের ৯ অক্টোবর চারজন, ১৪ অক্টোবর ৯ জন, ৮ ডিসেম্বর একজন; ২০২৪ সালের ১ মার্চ সাতজন, ৯ জুন তিনজন, আগস্টে তিনজন, ২ সেপ্টেম্বর ছয়জন নিহত হয়েছেন।