প্রত্যাশা অনুযায়ী তামাং জনগোষ্ঠীর জন্য পৃথক উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক পর্ষদ গঠনের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাহাড়ের অন্যান্য জনজাতিকে তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দরবার করার আশ্বাসও দিলেন তিনি। দার্জিলিং যাওয়ার পথে গাড়ি থেকে নেমে শেরপাদের নাচ-গান দেখলেন মমতা। লেপচা গ্রামে চা খেতে খেতে স্থানীয় কচিকাঁচাদের হাতে তুলে দিলেন সরস্বতী পুজোর চাঁদা।
মুখ্যমন্ত্রীর এ বারের পাহাড় সফরের উদ্দেশ্য বিভিন্ন জনগোষ্ঠীকে পাশে থাকার বার্তা দেওয়া। অপর উদ্দেশ্যটি পুরোপুরি রাজনৈতিক। মোর্চাকে কোণঠাসা করতে জনগোষ্ঠীগুলিকে কাছে টেনে নিচ্ছেন তিনি। ফলও পয়েছেন হাতে হাতেই। গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের ফলে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ার আশঙ্কা করছিল যে জনজাতিগুলি, তারা দু'হাত তুলে মমতাকে নিজেদের 'ভাগ্যবিধাতা' বলে মেনে নিলেন।
মোর্চার বিরোধিতা সত্ত্বেও এর আগে লেপচা উন্নয়ন পর্ষদ গড়েছিল রাজ্য সরকার। বিনিময়ে লেপচা সমাজ মুখ্যমন্ত্রীকে 'সৌভাগ্যের দেবী' শিরোপা দিয়ে সংবর্ধনা দিয়েছিল। আর এবারের পাহাড় সফরে মিরিক লেকের ধারে মমতাকে ঘিরে তামাংদের উচ্ছ্বাস-উন্মাদনা প্রমাণ করল তার কৌশল সফল হওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র।