কেউ ছয় মাস, কেউ এক বছর, কেউবা তারও আগে অবৈধভাবে ভারতে ঢুকেছিলেন। এরপর দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় কাজও জুটিয়ে নিয়েছিলেন। অবশেষে ফের অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরে যেতেই হাতেনাতে ধরা পরল ৪১ জন বাংলাদেশী নাগরিক।
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার রানীতলা থানা এলাকার পারসাহেবনর এলাকায়। পুলিশের বিশেষ অভিযানে হাতেনাতে ধরা পড়ে গেল ওই ৪১জন বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী।
জানা গেছে, ওই সকল বাংলাদেশীরা ট্রেনে চেপে শিয়ালদা থেকে ভগবানগোলা স্টেশনে নেমেছিল। এরপর তারা ইজি বাইক, সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন গাড়িতে পারসাহেবনগর এলাকার একটি মাঠে জড়ো হয়েছিল। সেখান থেকেই সোমবার রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পেরিয়ে নিজের দেশে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল ওই বাংলাদেশিদের।
কিন্তু গোপন খবরের ভিত্তিতে রাতেই রানীতলা থানার পুলিশ পারসাহেবনগর এলাকায় অভিযান চালায়।
আটককৃত বাংলাদেশীদের বাড়ি রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। তারা বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে রাজমিস্ত্রীর কাজ করত। বিশেষত দক্ষিণ ভারতের চেন্নাই ও বেঙ্গালুরুতে কাজ করত বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, আটক বাংলাদেশীরা গত দুই বছর ধরে মুর্শিদাবাদের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ভগবানগোলা থানা এলাকার কানাপাড়া ও চর লবনগোলা, রানীনগর থানার কাতলামারি, লালগোলা থানার বিরামপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীর নজর এড়িয়ে বেশ কয়েকবার দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেছে।
অভিযুক্ত বাংলাদেশীরা মূলত মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার দুই স্থানীয় বাসিন্দার সহায়তায় দক্ষিণ ভারতের বেঙ্গালুরু ও চেন্নাইয়ে কাজ করতে যায়।
কিন্তু সেখানে গত কয়েকদিন অবিরাম বৃষ্টি হওয়ায় ঠিকভাবে কাজ পাচ্ছিল না। তাই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে তারা সকলেই বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
তাদের কারো কাছেই ভারত ভ্রমণের বৈধ নথি ছিল না বলে জানা গেছে। আটক ব্যক্তিদের মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ জেলার লালবাগ আদালতে পাঠায় রানীতলা থানার পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/মুসা