ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মাদ্রাসাগুলো সন্ত্রাসী মূলক ও ভারত বিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রজনন কেন্দ্র বলে অভিযোগ করলেন বিজেপি'র পশ্চিমবঙ্গ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই ধরনের জেহাদী কর্মকাণ্ড নির্মূল করতে দুই দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার কলকাতায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন ‘আমরা সবাই জানি যে সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদ্রাসাগুলোতে জেহাদি কর্মকাণ্ড এবং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডকে লালন পালন করা হয়। মাদ্রাসাগুলো বিদেশের থেকে অর্থ সহায়তা পেয়ে থাকে। দুই দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর এই মাদ্রাসাগুলো একটি চেন তৈরি করে রেখেছে যার ফলে রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ড, অবৈধ গবাদি পশু পাচার ও পাচারের মতো নাশকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে’।
একটি উদাহরণ টেনে দিলীপ ঘোষ বলেন ‘পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যই সে সময় সীমান্তবর্তী মাদ্রাসাগুলোতে মৌলবাদীদের আখড়া বলে বর্ণনা করেছিলেন। কিন্তু পরে দলের চাপে সেই মন্তব্য প্রত্যাহার করতে হয়েছিল বুদ্ধদেব'কে। ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি)-এর রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই উনি এই মন্তব্য করেছিলেন। অতএব সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যকে কোনভাবেই হাল্কা ভাবে নেওয়া উচিত নয়’।
বাংলাদেশের সাথে পশ্চিমবঙ্গের অরক্ষিত সীমান্তগুলি দেশের পক্ষে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
বিজেপি সভাপতি আরও বলেন ‘সীমান্তবর্তী এই মাদ্রাসাগুলোর বিরুদ্ধে আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। রাজ্যের মানুষকেও সীমান্তবর্তী এলাকার রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে বোঝাবো। রাজ্য বিধানসভাতেও এই গুরুতর বিষয়টিকে উত্থাপন করবো এবং যে মাদ্রাসাগুলো রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ডকে প্রশয় দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানাবো’।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৫ জুন ১৬/ সালাহ উদ্দীন