সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন মুকুল রায়। অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পরই আজ বিকালে দিল্লির আকবর রোডে বিজেপির সদর দপ্তরে যান মুকুল রায়। সাড়ে পাঁচটায় আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দেন তিনি। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক বিজয় বর্গীয় ও রাজ্যসভার সাংসদ স্বপান দাশগুপ্ত প্রমুখ। নীল জহর কোট, সাদা পাজামা-পাঞ্জাবিতে বিজেপি সদর দফতরে পৌঁছনোর পরই মুকুলকে নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
নতুন দলে যোগ দিয়েই মুকুল রায় জানান ‘বাংলায় বিজেপিই ক্ষমতায় আসবে। বিজেপির নেতৃত্বে ২০২১ সালে বাংলায় নতুন সরকার তৈরি হবে এবং তার আগে ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে রাজ্যের শাসক দলকে ধাক্কা দেবে বিজেপি’।
তৃণমূলের এই সাবেক নেতা জানান ‘বিজেপির সমর্থন ছাড়া তৃণমূলের উত্থান কোনদিনই সম্ভব ছিল না। ১৯৯৮ সালে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে লড়াই করছিল, সেবারও বিজেপির সমর্থন ছিল। পরে ১৯৯৯ সালেও বিজেপির সমর্থনে নির্বাচনে লড়েছিল তৃণমূল এবং এনডিএ’তে অটল বিহারী বাজপেয়ীর সরকারে যোগ দিয়েছিল। আমি গর্বিত হবো যে নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে কাজ করতে পারবো এবং আমি বিশ্বাস করি যে বিজেপি মোটেই সাম্প্রদায়িক দল নয়। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বিকল্প খুঁজছে এবং খুব শিগগিরই রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে’।
রবিশঙ্কর প্রসাদ জানান ‘মুকুল রায় তৃণমূলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিপিএমকে উৎখাত করতে মুকুলের উল্লেখযোগ্য অবস্থান ছিল। এবং তিনি ১২ বছরের সাংসদ ছিলেন। মুকুলের যোগদানে বাংলাতে বিজেপি যথেষ্ট শক্তিশালী হবে বলেও জানিয়ে দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
যদিও মুকুলের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বাংলার বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের মধ্যে কিছুটা টানাপোড়েন ছিল। তাঁদের যুক্তি ছিল সারদা-নারদ কেলেঙ্কারির অভিযোগ যার বিরুদ্ধে উঠেছে তাঁকে দলে নেওয়া কতটা লাভজনক হবে। যদিও পরে সবাই একমত হন।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গ ত্যাগ করেন মুকুল রায়। সংবাদ সম্মেলন করে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন মুকুল। ওই সংবাদ সম্মেলনের পরই তৃণমূল থেকে ছয় বছরের জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করে দল। এরপর অক্টোবরে রাজ্যসভার সাংসদ পদ ও দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন মুকুল।
বিডি প্রতিদিন/৩ নভেম্বর ২০১৭/হিমেল