শৈশব অবস্থা থেকেই পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী মুসলিমসহ অন্যদের জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে উদ্বেগের কোন কারণ নেই বলে জানিয়েছেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাংসদ রূপা গাঙ্গুলী। তার অভিমত রাজনীতির স্বার্থে সব জিনিস নিয়েই রাজনীতি না করতেও রাজনৈতিক দলগুলির কাছে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ভারতের কেন্দ্রীর সরকারের প্রস্তাবিত ‘নাগরিকত্ব বিল’ নিয়ে অভিমত জানতে চাওয়া হলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরেই রূপা এসব কথা বলেন।
প্রস্তাবিত এই নাগরিকত্ব বিল অনুযায়ী বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের ভারতে শরণার্থী স্বীকৃতি দেওয়া হবে এবং মুসলিমদের অনুপ্রবেশকারী হিসাবে দেখানো হবে বিভিন্ন সূত্রে খবর। সে প্রসঙ্গে বিজেপির নারী সাংসদ বলেন, রাজনৈতিকভাবে এই ধারনা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ ভারত যখন ভাগ হয়েছিল তখন তার উদ্দেশ্যই ছিল যাতে পাকিস্তান একটি মুসলিম রাষ্ট্র হয়, বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) নাগরিকরাও মূলত মুসলিম। পশ্চিমবঙ্গ ভারতের একটি অংশ হয়ে উঠেছিল কারণ এখানে হিন্দুদেরই আধিক্য বেশি ছিল। শৈশব অবস্থা থেকেই যে মুসলিমরা অবস্থান করছেন তাদের জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে উদ্বেগ বা ভয়ের কারণ আছে কি? কোন কারণ নেই। কিছু কিছু জিনিস আছে যেগুলি নিয়ে জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই রাজনীতি না করাই উচিত।
৩০ জুলাই অাসামে প্রকাশিত হয় জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) চূড়ান্ত খসড়া তালিকা। তালিকা থেকে প্রায় ৪০ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়ার পরই কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ও বিরোধী দলগুলির মধ্যে বাদানুবাদ চলছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জির অভিযোগ, ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থেই এই কাজ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশে গৃহযুদ্ধ লেগে রক্তগঙ্গার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেন মমতা।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা