তিনদিন ধরে গভীর সমুদ্রে ভেসে থাকার পর এক বাংলাদেশি কিশোরকে উদ্ধার করলেন ভারতীয় মৎস্যজীবীরা। উদ্ধারকৃত কিশোর জানিয়েছে তার নাম ইমরান খান। পিতা ইসমাইল খান। বাড়ি বাংলাদেশের পাথরঘাটা থানা এলাকার ঘোরানি গ্রামে। ইমরানের বয়স আনুমানিক ১৩ বছর।
জানা গেছে, দিন কয়েক আগে ১২ জন মৎস্যজীবীর সাথে একটি ট্রলারে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে বেরিয়েছিল ওই কিশোর। মাঝ সমুদ্রেই একদল জলদসস্যু ট্রলারে হামলা চালায়। জলদস্যুরা মৎস্যজীবীদের মাছের জাল কেটে দেয় বলেও অভিযোগ। এ সময় প্রাণ বাঁচাতে বেশ কয়েকজন সমুদ্রে ঝাঁপ দেয়। তার মধ্যেই ছিল ওই কিশোর। সেই থেকে টানা ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে পানির ওপর ভাসতে থাকে।
গতকাল শুক্রবার মাঝ সমুদ্রে ওই কিশোরকে ভাসতে দেখেন পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার রায়দিঘি থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবীরা। তারাই দেখেন যে গভীর সমুদ্রে কেউ একজন ভাসছে। কাছে গিয়েই দেখা যায় ওই কিশোরকে। সাথে সাথে তাকে ট্রলারে তুলে শুরু হয় প্রাথমিক চিকিৎসা। সেখান থেকে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে। খবর দেওয়া হয় রায়দিঘি থানার পুলিশকেও। পুলিশ ইমরানের বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করে দেখছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট নিজামুদ্দিন মোল্লা (৫০) নামে এক বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেছিলেন ভারতীয় মৎস্যজীবীরা। সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে ছামতা নামক দ্বীপে বাগেরহাটের বাসিন্দা নিজামুদ্দিনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে রায়দিঘিতে নিয়ে আসা হয়। পরে তিনি জানিয়েছিলেন, গত ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাদের ট্রলারে জলদস্যুরা হামলা চালালে তাদের হাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে পানিতে ঝাঁপ দেন।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব