কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে উদযাপন করা হয়েছে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস।
সোমবার সকালে উপ হাইকমিশনার তৌফিক হাসান জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। বাণী পাঠ করেন উপ-হাইকমিশনের কাউন্সিলর (কন্স্যুলার) বসির উদ্দিন, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-২) শামীমা ইয়ামিন স্মৃতি এবং দ্বিতীয় সচিব (কন্স্যুলার) শেখ শাফিনুল হক। এরপর দিনটির উপলক্ষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মিশনের মসজিদের ইমাম।
বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত ইসলামিয়া কলেজের (বর্তমানে মৌলানা আজাদ কলেজ) বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে পুস্তস্তবক অর্পণ করা হয় এবং বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এছাড়াও বাদ যোহর ও মিশনের মসজিদে মিলাদ মহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অন্যদিকে যথাযথ মর্যাদার সাথে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় সদর দফতর ফোর্ট উইলিয়াম-এও দিনটি পালন করা হয়। এদিন সকালে ফোর্ট উলিয়ামের মূল ফটকের কাছে অবস্থিত বিজয় স্মারকে একাত্তরের যুদ্ধে শহীদ বীরদের প্রতি ফুলের শ্রদ্ধা জানান হয় ভারতের তিন বাহিনী (স্থলবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী)-র পক্ষ থেকে। বাংলাদেশের সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান এমপির নেতৃত্বে বাংলাদেশের এক প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জাননো হয়।
এর পর সেনাবাহিনীর মাঠে আয়োজিত একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত একটি প্রদর্শনীও ঘুরে দেখে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি দল।
বিজয় দিবস উপলক্ষে দিল্লিতে অমর জওয়ান জ্যোতিতে সেনাবাহিনীর বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ও দেশটির তিন বাহিনীর প্রধান।
মুক্তিযুদ্ধের সময়কালীন স্মৃতিচারণা করে শাহজাহান খান জানান ‘আমরা দেখেছিলাম কিভাবে মিত্রবাহিনীর কাছে পাকিস্তান বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল। এই দিনটি পালন দুই দেশের কাছেই আনন্দের বিষয়।’
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন