২৩ নভেম্বর, ২০২০ ১৭:২৬

বিজেপিকে ভোট নয়, এরা ক্ষমতায় এসেই বলবে এনআরসি চাই: মমতা

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

বিজেপিকে ভোট নয়, এরা ক্ষমতায় এসেই বলবে এনআরসি চাই: মমতা

আগামী বছরের গোড়ার দিকে (এপ্রিল-মে) পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে সোমবার রাজ্যটির বাঁকুড়া জেলার খাতরা এলাকায় একটি রাজনৈতিক জনসভা থেকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

আলু, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করে মমতা বলেন ‘আলু, পেঁয়াজ, তেল এগুলো রাজ্যের অধীনে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনের আওতায় ছিল। কিন্তু এখন দিল্লি কি করেছে? আলু নিয়ে নিয়েছে। তারা আলু দিয়ে কি করবে? দিল্লির সরকার আলুর সরকার। ওরা সব আলু নিয়ে পালিয়ে গেছে। আপনারা আলু সেদ্ধ ভাতও খেতে পারবেন না। দিল্লি এই আইন তৈরি করেছে। এরা কৃষক, দলিত, সংখ্যালঘু, আদিবাসীদের সব কেড়ে নেবে। এদের আর একটা ভোটও নয়-এটা মনে রাখবেন।"

এ সময় মমতা আরও বলেন, এরা (বিজেপি) ক্ষমতায় এসেই বলবে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) চাই। তোমার বাবার জন্মের সনদ দাও, তোমার মায়ের সনদ দাও, তোমার ঠাকুমার সনদ দাও, তোমার ঠাকুর দাদার জন্মের সনদ দাও। আর তা না হলে তুমি বাংলা থেকে বেরিয়ে যাও। এটাই ওদের কাজ।’

বিজেপিকে নিশানা করেই তিনি আরও বলেন, 'নির্বাচনের আগে অনেক রাজনৈতিক দল আসবে। ভোটের জন্য আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এ রুপিও জমা দিয়ে দেবে। কিন্তু ওই রুপি ওদের জমিদারের রুপি নয়, ওই রুপি আপনাদের। তাই রুপি নেবেন, কিন্তু ভোট দেবেন না। নির্বাচনের সময় অনেকে অনেকের মতো আসবে, দাঙ্গা লাগাবার কথা বলবে। কিন্তু ব্যাপারে সজাগ থাকবেন।’

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাঁকুড়া সফর নিয়েও এদিন কটাক্ষ করেন মমতা। তিনি বলেন, "কয়েকদিন আগেই আমাদের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এখানে এসেছিলেন লোক দেখানোর জন্য। বাইরে থেকে খাবার বানিয়ে নিয়ে এসে দলিতদের ঘরে বসে সেই খাবার খেয়েছিলেন। ওই দলিত পরিবারের রান্না করা বাঁধাকপি বা অন্য কিছু খাননি, তিনি খেয়েছেন বাসমতি চালের ভাত ও বড়া।"

ভোটের কথা মাথায় রেখে আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত রাজ্যের মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন মুখ্যমন্ত্রী। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি জানান, আগামী নির্বাচনেও তৃণমূলই ফের ক্ষমতায় আসছে। তাই বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার সময়সীমা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হবে। যাতে মানুষের কষ্ট লাঘব হয়।’

এদিনের অনুষ্ঠান থেকে ৩৫৩ কোটি রুপি মূল্যের ৩২টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এদিনের অনুষ্ঠান থেকে ১২০০ জনকে সরকারি সহায়তাও প্রদান করা হয়। নির্বাচনের আগেই সব সরকারি প্রকল্পের কাজ শেষ করারও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। 
এই অনুষ্ঠানের আগে খাতরা এলাকায় আদিবাসী পরিবারের বাড়িতে গিয়ে স্থানীয় লোকেদের সাথে কথা বলে তাদের অভাব-অভিযোগ শোনেন তিনি।  

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর