কেন্দের মোদি সরকারের বিতর্কিত তিন কৃষি আইনের বিরোধিতায় এবার পথে নামলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জি। এই আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য কেন্দ্রীয় স্তরে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান। তারই অংশ হিসাবে বৃহস্পতিবার কলকাতার ধর্মতলায় মহাত্মা গান্ধীর পাদদেশে গত তিন দিন ধরে চলমান তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিলেন মমতা।
সেই সভা থেকে এক দশক আগের সিঙ্গুর জমি আন্দোলন ও সেই প্রেক্ষিতে ধর্মতলায় ২৬ দিনের অনশনপর্ব স্মরণ করে মমতা বলেন ‘আমাদের উদ্দেশ্যই ছিল কৃষি জমি জোর করে অধিগ্রহণ করতে দেবো না। আমরা সেই আন্দোলনে সাফল্য মন্ডিত হয়েছিলাম। আমরা সেই কথা আজও ভুলবো না।’
কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনকে ‘কালা আইন’ বলে আখ্যায়িত করে মমতা বলেন ‘আজকে গোটা ভারতের কৃষক আন্দোলনকে আমরা সমর্থন জানাচ্ছি, মানুষ যখন বিপদে পড়ে বাংলা তার জন্য করে, বাংলা এগিয়ে আসে। ‘জাতীয় নাগরিক পঞ্জি’ (এনআরসি) ইস্যুতে যখন ২০ লাখ বাঙালির নাম বাদ যায়, সেদিনও আমরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। দিল্লিতে ‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন’ (সিএএ), ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার’ (এনপিআর) নিয়ে যখন আন্দোলন হয়, সেসময়ও আমি নিজে প্রতিদিনই মিছিল করতাম। কিন্তু সেই আইন এখনও বাতিল হয়নি। চুপ করে লুকিয়ে রেখেছে। যখনই সুযোগ পাবে হঠাত করেই বের করবে। আর চুপ করে বের করে ধুক করে ঠুকে দেবে। এই হচ্ছে ওদের কাজ।’
এই আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে মমতা বলেন ‘কৃষকদের নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার তিনটি আইন করেছে। কৃষকদের ওপর যে অত্যাচার চলছে...। এই তিনটি কৃষি আইনই প্রত্যাহার করতে হবে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন থেকে আলু, পিঁয়াজ, আটা, খাবার তেল-কে সরানো যাবে না। সাধারণ মানুষ যাতে খাবার ঠিকমতো পায়, তা দেখতে হবে। কিন্তু কৃষকদের ধান যদি মজুদ বা কালোবাজারী করা হয় তবে সাধারন মানুষ খেতে পাবেন না। এতে কয়েকজন কোটিপতির সংস্থান হবে। এটা জনগন বিরোধী ও কৃষক বিরোধী বিল।’
বিডি প্রতিদিন/হিমেল