‘অবৈধ বিদেশি’ নাগরিক হিসাবে চিহ্নিত করার পর আসামের একটি ডিটেনশন ক্যাম্পে এক বৃদ্ধের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গেছে তিন বছর আগে চন্দ্রধর দাস নামে ১০৪ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধকে ‘বিদেশি’ নাগরিক হিসাবে চিহ্নিত করে ফরেনারস ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণের আগেই রবিবার রাতে বয়সজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়।
আসামের কাছার জেলার আমরাঘাট এলাকার বরাইবস্তি গ্রামে নিজের বাড়িতে মৃত্যু হয় চন্দ্রধরের। এরপর রাতেই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
ভারতীয় প্রমাণপত্রের সনদ দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসে ফরেন ট্রাইব্যুানালে ‘বিদেশি’ হিসাবে চিহ্নিত হন চন্দ্রধর। এরপর ওই বছরের মার্চে তাকে শিলচরের কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক জনরোষের পর জুন মাসেই তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এদিকে চন্দ্রধরকে ‘বিদেশি’ হিসাবে চিহ্নিত করার ফলে তার তিন পুত্র ও নাতি-নাতনিদেরও সমস্যায় পড়তে হয়। সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধায়নে গত বছর আসামে ‘জাতীয় নাগরিক পঞ্জি’ (এনআরসি) প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু এনআরসি’এর কাছে জমা পড়া ৩.২৯ লাখ আবেদকারীর মধ্যে চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়ে ১৯ লাখেরও বেশি নাগরিকের নাম। যার মধ্যে ছিল মৃত চন্দ্রধরের পুত্র ও নাতি-নাতনিদের নামও।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল