সকাল ৭টা থেকে পশ্চিমবাংলার ভবানীপুরে কড়া নিরাপত্তায় চলছে উপনির্বাচন ভোট। দক্ষিণ কলকাতার হাইভোল্টেজ এই কেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তায় রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। ভবানীপুরের বিভিন্ন বুথে, অলিগলিতে চলছে এরিয়া ডমিনেশন। দলে রয়েছেন ৫ জন জয়েন্ট সিপি, ১৪ জন ডেপুটি কমিশনার, ১৪ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ও ১০০ জন ট্রাফিক সার্জেন্ট।
একই সঙ্গে ভোট চলছে মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর কেন্দ্রেও। তবে গোটা রাজ্যের নজর এখন ভবানীপুরের দিকে। ভাবনীপুরের হাইভোল্টেজ কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। মমতার প্রতিদ্বন্দীতা করছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল ও বামপ্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য মোট ৫২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন। তারমধ্যে ভবানীপুরের ২৮৮টি বুথের জন্য রাখা হয়েছে ৩৫ কোম্পানি বাহিনী নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই ভোট পশ্চিমবঙ্গের নিরিখে অতি গুরত্বপুর্ণ উপনির্বাচন। কারণ এই কেন্দ্র থেকে মমতা পরাজিত হলে তাকে ছাড়তে হবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পদ। পাশাপাশি পরাজিত হলে আর কোনো কেন্দ্র থেকে তিনি প্রার্থীও হতে পারবেন না। ফলে তৃণমূল সুপ্রিমো হেরে গেলে পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হবে সাংবিধানিক সংকট।
চলতি বছরের এপ্রিলে পশ্চিমবঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিধানসভা নির্বাচন। মমতার দল নিরঙ্কুশ ক্ষমতা পেলেও দলের প্রধান নন্দীগ্রামে পরাজিত হয়েছিলেন। তৃণমূল রাজ্যে সরকার গঠন করায় স্বভাবতই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দোপাধ্যায়। তবে সংবিধান অনুযায়ী, কোনো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রিত্ব ধরে রাখতে হলে যেকোনো একটি কেন্দ্র থেকে ছয় মাসের মধ্যে জিতে আসতে হবে মমতাকে। তার সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৪ নভেম্বর। সে কারণেই ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন মমতা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে মমতাকে ভবানীপুর কোনোকালেই নিরাশ করেনি। কেন্দ্রটি তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি এবং রেকর্ড ভোটে মমতার জেতার সম্ভাবনাই বেশি। তবে ভবানীপুর কাকে বেছে নেবে তা জানা যাবে ৩ অক্টোবর ভোটের ফল ঘোষণার দিন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক