৩০ নভেম্বর, ২০২২ ২২:০৩

আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা শুরু ৩০ জানুয়ারি

দীপক দেবনাথ, কলকাতা :

আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা শুরু ৩০ জানুয়ারি

আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে ৪৬তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। মেলা চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বিধাননগর মেলা প্রাঙ্গণে এ আয়োজন করা হবে। মেলার উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। উপস্থিত থাকবেন ভারতে স্পেনের রাষ্ট্রদূত খোসে মারিয়া রিদাও দোমিনগেজসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। 

বুধবার বিকালে কলকাতার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে একথা জানান কলকাতা বইমেলার আয়োজক সংস্থা ‘কলকাতা বুক সেলার্স আ্যন্ড গিল্ড’ এর সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চ্যাটার্জি। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন গিল্ডের সভাপতি সুধাংশু শেখর দে এবং স্পেনের রাষ্ট্রদূত খোসে মারিয়া রিদাও দোমিনগেজসহ বিশিষ্টরা। 
 
আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার এবারের থিম কান্ট্রি 'স্পেন'। এর আগে, ২০০৬ সালে বইমেলার থিম কান্ট্রি হিসেবে স্পেন অংশগ্রহণ করেছিল। সে বছর বইমেলার থিম প্যাভিলিয়নে ভারতের স্প্যানিশ দূতাবাস ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যার পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্প্যানিশ ভাষাশিক্ষা বিভাগে স্পেনের সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবছর একজন অধ্যাপককে পাঠানো শুরু হয়।

এছাড়াও স্পেন থিম কান্ট্রি হবার পর সে বছর থেকে কলকাতায় বিদেশি ভাষা হিসেবে স্প্যানিশের ওপর ডিপ্লোমার আন্তর্জাতিক পরীক্ষা DELE শুরু হয়, যার পরিচালনা করেন স্পেন সরকারের ইন্সটিটিউট অব সার্ভান্তেস। 

স্পেন ছাড়াও আগামী বইমেলাতে বাংলাদেশ, রাশিয়া, ইতালি, ইরান, স্পেন, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো ও লাতিন আমেরিকার বেশ কিছু দেশ। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের অন্য রাজ্য থেকেও প্রকাশকরা এই বইমেলায় যোগ দেবে। থাকবে অনেক লিটল ম্যাগাজিনও। ৪৬তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার আরেকটি বিশেষ আকর্ষণ নবম কলকাতা লিটারেচার ফেস্টিভ্যাল, যেটি অনুষ্ঠিত হবে ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি। 

গত বছরের মতো এবারও আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২২-এর প্রত্যেক মুহূর্তের ভার্চুয়াল উপস্থিতি থাকবে গিল্ডের ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়ায়। বইমেলার ডিজিটাল পার্টনার কলকাতার সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়। 

এদিন গত বছরের বইমেলার একটি পরিসংখ্যান দিয়ে ত্রিদিব চ্যাটার্জী বলেন করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হবার পরে, গত ২০২২ সালের আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় এসেছিলেন ২২ লক্ষ বইপ্রেমী মানুষ। বই বিক্রির পরিমাণ ২৩ কোটি টাকা, অতীতের সমস্ত বইমেলার থেকে বেশি। বইপ্রেমী মানুষের এই উপস্থিতি ও অংশগ্রহণে অভাবনীয় সফল হয় বইমেলা।

ফলস্বরূপ, আগামী বইমেলায় অংশগ্রহণের জন্য অনেক বেশি সংখ্যক প্রকাশক আবেদন করেছেন। গত মেলায় অনেক নতুন প্রকশককে স্থান দেওয়া হয়েছিল। এবার আরও বেশি সংখ্যক প্রকাশককে মেলায় স্টল দেওয়া নিয়ে পরিকল্পনা করেছে বইমেলা কর্তৃপক্ষ।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর