রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে বেড়েছে চাল, আটা ও ময়দার দাম। গতকাল খোলা বাজারে প্রতি কেজি আটার দাম তিন টাকা ও ময়দার দাম দুই টাকা বেড়েছে। বেড়েছে বিভিন্ন জাতের চালের দামও। পিয়াজের দাম আরও কমেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত পিয়াজের রপ্তানিমূল্য কমিয়ে দেওয়ায় এবং বাজারে দেশি নতুন পিয়াজ আসায় দাম কমছে।
বিরোধী দলের অবরোধ চলমান থাকা সত্ত্বেও পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় কিছুটা গতি ফিরে এসেছে। তাই এই সময়ে আটা ও ময়দার দাম বাড়ার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না ক্রেতারা। গতকাল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুই দিন আগে সাধারণ মানের খোলা আটা প্রতি কেজি ৩০-৩২ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৪-৩৫ টাকায়।
এ ছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেটজাত আটা ৩৬-৩৭ টাকা থেকে বেড়ে ৪০ টাকা হয়েছে। একইভাবে ৩৫-৩৭ টাকার খোলা ময়দা ৪০ টাকা ও প্যাকেটজাত ময়দা ৪২-৪৪ টাকা থেকে বেড়ে ৪৪-৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ গম আমদানি কমে যাওয়া। পাইকারি বাজারে খোলা আটা ও ময়দার মূল্যবৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে প্যাকেটজাত আটা-ময়দার দামও বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি সব ধরনের চালের দাম কেজিতে এক থেকে তিন টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গতকাল নতুন নাজিরশাইল প্রতি কেজি ৪৮-৫০ টাকা, পুরনো নাজিরশাইল ৫৪-৫৮ টাকা, মিনিকেট ৪৮-৫০, বিআর-২৮ ৪২-৪৪ টাকা, লতা ৪০-৪২ টাকা এবং মোটা ও স্বর্ণা চাল ৩৫-৩৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অবরোধের কারণে সরবরাহ বন্ধ থাকায় সংকটের কারণে দাম বেড়েছে। এদিকে দাম কমেছে সব ধরনের সবজির। বেগুন ৩০-৩২, করল্লা ৩০-৩৫, শিম ২০-২২, টমেটো ৩৫-৩৮, গাজর ২০-২২, শালগম ১৮-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে প্রতিটি ফুলকফি ও বাঁধা কপি ১৮-২০ টাকা এবং লাউ ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হয়। কাঁচা মরিচের দাম আগের সপ্তাহ থেকে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে দশ টাকা। আগের ১২০-১২৫ টাকা থেকে বেড়ে গতকাল হয়েছে ১৩০-১৩৫ টাকা। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ভারতীয় পিয়াজ ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দেশি নতুন পিয়াজের দামও কমেছে প্রায় একই হারে। গতকাল বিক্রি হয়েছে ৪০-৪২ টাকা কেজিতে। হালিতে ডিমের দাম দুই টাকা কমেছে। আগের সপ্তাহে দাম ছিল ২৮-৩০ টাকা, গতকাল ছিল ২৬-২৮ টাকা। এ ছাড়া বাজারে মাছের সরবরাহ বেড়েছে। গতকাল বড় সাইজের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৭০০-৮০০ টাকা, মাঝারি ৪০০-৫০০ টাকায়। শিং বড় প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৬০০-৭০০ টাকায়। কৈ বড় প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ২৫০-২৬০ টাকায়। এ ছাড়া তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, মলা ১৮০, কাচকি ২৪০, পুটি (দেশি) ৩০০, কোরাল ৩২০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়।