ভারতের সংবিধান থেকে সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দেওয়ার দাবি জোরালো হয়ে উঠেছে। কয়েকজন বিজেপি ও আরএসএস নেতা এ দাবি নিয়ে সোচ্চার হলেও এবার খোদ উপরাষ্ট্রপতি জগদ্বীপ ধনকরও একই দাবি তুলেছেন। এ নিয়ে তৈরি হয়েছে তুমুল বিতর্ক। বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী এ দাবির কঠোর সমালোচনা করেছেন।
এ দাবির ব্যাপারে প্রথমে আর এস এস সাধারণ সম্পাদক দোত্তত্রেয় হন্সবলে বলেন, ‘ইন্দিরা গান্ধীর সময় ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থার সময় সংবিধানে রাষ্ট্রের চরিত্র বর্ণনা করার জন্য সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষ শব্দ দুটি যোগ করা হয়। অথচ ১৯৫০ সালে রচিত সংবিধানে এই দুই শব্দ ছিল না।’ সংসদে আর এস এস নেতা এই মন্তব্য করার পর দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ও নীতিন গরকরি তার বক্তব্যকে সমর্থন করেন। এর পর গত শনিবার রাজধানী দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে উপরাষ্ট্রপতি জগদ্বীপ ধনকর বলেন, ‘জরুরি অবস্থার সময় গোটা দেশ সরকারের দাস হয়েছিল। সেই সুযোগে ইন্দিরা গান্ধী ওই শব্দ দুটো যোগ করে দেন। এটা ন্যায়বিচারের সঙ্গে প্রতারণা।’ তিনি বলেন, ‘সংবিধান প্রণেতারা কখনোই এটা যোগ করেননি। তা ছাড়া সংবিধানের প্রস্তাবনা সংশোধন করা যায় না।’
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্ময়াও বলেছেন, ‘আমি মনেপ্রাণে হিন্দু। আমি কী করে ধর্মনিরপেক্ষ হব? যেমন একজন মুসলিম মনেপ্রাণ মুসলিম, সে কি করে ধর্মনিরপেক্ষ বা অসাম্প্রদায়িক হবে?’ প্রসঙ্গত, ওই সময় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ওই সংশোধনীকে সমর্থন দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। ১৯৯৪ সালে বিচারপতি এস আর বোম্মাই রায় দেন, ধর্মনিরপেক্ষতা সংবিধানের মৌলিক ধারা। একে পরিবর্তন করা যাবে না।