রংপুরের তারাগঞ্জের বুড়িরহাট বটতলা এলাকায় ৯ আগস্ট ভ্যানচোর সন্দেহে পিটিয়ে রূপলাল রবিদাস (৪০) ও প্রদীপ রবিদাসকে (৩৫) হত্যার বিচার দাবিতে সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম) ও বাংলাদেশ দলিত পরিষদ (বিডিপি)। গতকাল সকালে রংপুর প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বিডিপি রংপুর জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট মনিলাল দাস। এদিকে এ ঘটনায় রূপলালের স্ত্রী ভারতী রানী বাদী হয়ে ৫০০ থেকে ৭০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে তারাগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ১১ আগস্ট সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। ১৩ আগস্ট রাতে তারাগঞ্জ থানার দুই এসআইসহ আট পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ছাড়া ১৪ আগস্ট গ্রেপ্তার চার আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
তারেক রহমানের নির্দেশে রূপলালের পরিবারকে সহায়তা : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে গণপিটুনিতে নিহত রূপলালের পরিবারকে ৭০ হাজার টাকা সহায়তা দিয়েছে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা বিএনপি। গতকাল দুপুরে ঘনিরামপুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে ওই টাকা প্রদান করেন উপজেলা বিএনপির নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তারাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম ম ল, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান শিপু প্রমুখ। মেহেদী হাসান শিপু বলেন, মব সৃষ্টি করে চোর আখ্যা দিয়ে নিরীহ রূপলালকে যারা হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
রূপলালের পরিবারের পাশে জামায়াত : রংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে হত্যার শিকার রূপলালের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। গতকাল দুপুরে তারাগঞ্জ কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর ডাঙ্গাপাড়ায় রূপলালের বাড়িতে যান জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল ও নির্বাহী পরিষদের সদস্য এ টি এম আজহারুল ইসলাম। সাক্ষাৎ করেন রূপলালের পরিবারের সঙ্গে। এ সময় তিনি সমবেদনা জ্ঞাপন, আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ রূপলালের মেয়ে নূপুরের বিয়েতে আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন।
এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেন, মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। তাই কীভাবে মানুষকে মানুষ পিটিয়ে মারে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মব জাস্টিসে বিশ্বাস করে না। কারণ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। আমরা দোষীদের বিচার দাবি করছি।