সচিবালয়ে ক্যান্টিন পরিচালনা নিয়ে মারামারির ঘটনায় এক পক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে অপর পক্ষ। বিক্ষোভে বিচার দাবি করেছেন তারা। গতকাল দুপুরে সচিবালয় কর্মকর্তার-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ‘নূরুল-মোজাহিদ’ অংশের মহাসচিব মোজাহিদুল ইসলাম সেলিমের নেতৃত্বে অন্তত ২০-২৫ জন কর্মচারী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। তারা পরিষদের অন্য অংশের সভাপতি বাদিউল কবীরের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে অভিযোগ তুলে বিচারের দাবি জানান। মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, গত ২৪ জুন সন্ধ্যায় নূরুল ইসলামসহ পরিষদের শীর্ষ নেতাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এতে আহত নূরুল ইসলাম এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সেদিন সন্ধ্যার পর থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবনের সব সিসি ক্যামেরা বন্ধ ছিল। এটা কার নির্দেশে সে প্রশ্ন রাখেন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করার দাবি জানান তিনি। মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, সচিবালয় মাস্তানির জায়গা না। ১৮ হাজার কর্মচারীকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তাদের প্রতিহত করব। আজ হোক, কাল হোক- এখান থেকেই বিচার করা হবে। সমাবেশে সংযুক্ত পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব মিলন মোল্লা কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেন, যারা হামলা চালিয়েছে তাদের আন্দোলনে আর কেউ যাবেন না। তাদের প্রতিহত করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে সচিবালয়ের ক্যান্টিন পরিচালনাকে কেন্দ্র করে নূরুল ইসলাম ও বাদিউল কবীরের নেতৃত্বাধীন দুই পক্ষের কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার পর থেকে সচিবালয় বহুমুখী সমবায় সমিতির আওতাধীন ক্যান্টিন ও দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে।