যুক্তরাষ্ট্র বা ট্রাম্পবিরোধী হলে দেওয়া হবে না যুক্তরাষ্ট্রের সিটিজেনশিপ বা গ্রিনকার্ড। ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির বিপক্ষে কথা বললে, কিংবা গাজায় ইসরায়েলি হামলার সমালোচনা করলেও একই ফল হবে। এমনকি পারিবারিক কোটায় নিকটাত্মীয়রাও অভিবাসন ভিসা পাবেন না- যদি কি না তারা যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পরিপন্থি কোনো কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকেন। ১৯ আগস্ট ইউএসসিআইএস (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড সিটিজেনশিপ সার্ভিস) এমন নির্দেশনা জারি করেছে।
ইউএসসিআইএসের মুখপাত্র ম্যাথিউ ট্র্যাগেসার ইস্যুকৃত এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘ভালো নৈতিক চরিত্র’র অধিকারী না হলে কেউই যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পাবেন না। আমেরিকার নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থি আচরণে লিপ্তরা কোনো ধরনের সুযোগসুবিধা পাবেন না। অ্যাসাইলাম প্রার্থনা অথবা অন্য কোনো প্রোগ্রামে গ্রিনকার্ডের আবেদনকারীরাও নয়া এই নির্দেশনার আওতায় পড়বেন। বিদ্যমান রীতি অনুযায়ী, সিটিজেনশিপ আবেদনকারীর (পেন্ডিং থাকা আবেদনও) ব্যাক গ্রাউন্ডও একইভাবে খতিয়ে দেখা হবে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর গভীর নজরদারির পরই আবেদনগুলোর ছাড়পত্র দেওয়া হবে। এই নির্দেশনার ব্যাপারে, ওয়াশিংটনভিত্তিক উদারনীতির থিঙ্কট্যাংক ‘ক্যাটো ইনস্টিটিউট’র ইমিগ্রেশন বিষয়ক পরিচালক ডেভিড জে বাইয়ার এবং ইউএস সুপ্রিম কোর্টে ইমিগ্রেশন বিষয়ক খ্যাতনামা আইনজীবী ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার মঈন চৌধুরী বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নানা পদক্ষেপের সঙ্গে দ্বিমত পোষণকারীদের ‘চুপ রাখতে’ এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে, যা নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থি।