গাজীপুরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় সাবেক স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার খিলক্ষেত থানার কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার আসামিকে আদালতে পাঠানো হলে হত্যার দায় স্বীকার করে বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গ্রেপ্তারকৃত মো. খোরশেদ আলম (৪৮) রাজধানী ঢাকার গুলশান থানার শাহাজাদপুর এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গাজীপুরের পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, নিহত রোমা আক্তার (৩৩) আসামি খোরশেদ আলমের দ্বিতীয় স্ত্রী। ২০১৮ সালে রোমার সঙ্গে খোরশেদ আলমের বিয়ে হয়। তাদের আয়াত নামে ৬ বছরের একটি মেয়ে আছে। রোমা একই গ্রামের ইউসুফ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিলেন।
গত ২৯ আগস্ট রোমা তার স্বামী খোরশেদ আলমকে তালাকের এফিডেভিট দেখিয়ে জানান, গত ৮ মে তাকে তালাক দিয়ে ইউসুফকে বিয়ে করেছেন। তালাকের বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয় এবং তারা আলাদা বসবাস শুরু করেন।
পরবর্তীতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর রোমাকে ফোন দিয়ে তার মেয়ে আয়াতের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে রোমা খোরশেদ আলমকে রাতে আসতে বলেন। খোরশেদ রাতে রোমার বাড়িতে আসলে রোমা দরজা না খোলায় খোরশেদ সারারাত রান্নাঘরে থাকেন।
পরদিন ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে রোমা তার মেয়েকে নিয়ে দোকান থেকে বাড়িতে আসলে খোরশেদ রোমার রুমে ঢোকেন। এ সময় তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে খোরশেদ শোকেস থেকে ছুরি বের করে রোমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যান। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রোমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি পিবিআই তদন্ত শুরু করে এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে সোমবার ঢাকায় অভিযান চালিয়ে খোরশেদকে গ্রেপ্তার করে।
মঙ্গলবার গ্রেপ্তারকৃত খোরশেদ আলমকে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হলে তিনি রোমা আক্তারকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল