প্রশাসন ক্যাডারের পর এবার অন্যান্য ক্যাডারে পদোন্নতি ‘বঞ্চিত’ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে ৭৮ জনকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির সুপারিশ করেছে এ-সংক্রান্ত পর্যালোচনা কমিটি। এরই মধ্যে অবসরে যাওয়া পদোন্নতির সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্যে গ্রেড-১ পদে ১২ জন, গ্রেড-২ পদে ৩২ জন এবং গ্রেড-৩ পদে ৩৪ জন কর্মকর্তা রয়েছেন।
গতকাল প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুপারিশ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেন পদোন্নতি বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা কমিটির আহ্বায়ক ও সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া উপস্থিত ছিলেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে চাকরিতে বঞ্চনার শিকার এবং অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য গত ১৬ সেপ্টেম্বর এ কমিটি গঠিত হয়। পাঁচ সদস্যের এ কমিটি দুই ধাপে তাদের কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। কমিটি প্রথম ধাপে উপসচিব ও তদূর্ধ্ব পদে বঞ্চনার শিকার প্রশাসন ক্যাডারের আবেদনগুলো পর্যালোচনা করে গত ১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে। দ্বিতীয় ধাপে প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া অন্য যেসব ক্যাডারে তৃতীয় গ্রেড বা তদূর্ধ্ব পদ রয়েছে, সেসব ক্যাডারের বঞ্চিত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করা হয়। এ সময় ৩১৮টি আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে ৬৮টি আবেদন কমিটির আওতাবহির্ভূত এবং ৪০টি আবেদন তথ্যগতভাবে অসম্পূর্ণ হওয়ায় ১০৮টি আবেদন বাতিল হয়। কমিটি অবশিষ্ট ২১০টি আবেদন যাচাইবাছাই করার জন্য কমিটি ১৪টি সভা করে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে কমিটি সুপারিশ প্রণয়ন করেছে।
পদোন্নতির জন্য সুপারিশ করা তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, কমিটি ৬ জন কর্মকর্তাকে ৩ ধাপ, ১৭ জন কর্মকর্তাকে ২ ধাপ এবং ৫৫ জন কর্মকর্তাকে ১ ধাপ পদোন্নতির সুপারিশ করেছে। যাদের পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়নি, প্রতিটি ক্ষেত্রে তার সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।