ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্রাথমিক বৈধ প্রার্থী ৪৬২ জন। ত্রুটি পূর্ণ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় স্থগিত রয়েছে ৪৭ জনের প্রার্থিতা। তিন পদে নেই কোনো নারী প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডাকসুর চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা জসীম উদ্দীন।
প্রার্থিতার পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভিপি পদে ছাত্র প্রার্থী ৪৩ জন, ছাত্রী ৫ জন; জিএএস পদে ছাত্র ১৮ জন, ছাত্রী ১ জন; এজিএস পদে ছাত্র ২৪ জন, ছাত্রী ৪ জন; মুক্তিযুদ্ধ ও ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক পদে ছাত্র ১৪, ছাত্রী ১; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ছাত্র ১০ জন, ছাত্রী ১ জন ; ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক ছাত্র ৭ জন, ছাত্রী ২ জন; সমাজসেবা সম্পাদক পদে ছাত্র ১৩ জন, ছাত্রী নেই; মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে ছাত্র ৮, ছাত্রী ৩ জন ; স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ছাত্র ১২, ছাত্রী ৩; ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ছাত্র ৯ জন, ছাত্রী নেই; ক্রীড়া সম্পাদক পদে ছাত্র ১২ জন, ছাত্রী ১ জন; গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক ছাত্র ৭, ছাত্রী ৪; কমন রুম, রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ছাত্র ২, ছাত্রী ৯; আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ছাত্র ১৫ জন, ছাত্রী নেই; সাহিত্য সম্পাদক ছাত্র ১৭, ছাত্রী ২; সদস্য পদে ছাত্র ১৯১ জন , ছাত্রী ২৪ জন, মোট ২১৫ জন।
অর্থাৎ ডাকসু নির্বাচনে বৈধ প্রাথমিক প্রার্থী হিসেবে ছাত্র মোট ৪০২ জন, ছাত্রী ৬০ জন।
এছাড়া নির্বাচন কমিশন জানায়, ১৮টি হল সংসদে বৈধ প্রার্থী ১১০৮ জন, স্থগিত ১ জন।
রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানান, ভোটার নাম্বার, নাম পরিচয়ে ত্রুটি, রেজিস্ট্রেশন নাম্বারে ভুল, বাবা মায়ের নামে ভুল/অসঙ্গতি ,স্বাক্ষর ভুল ইত্যাদি কারণে প্রার্থিতা স্থগিত করা হয়েছে। প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশন বরাবর আপিল করলে যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে। ২৩ আগস্ট পর্যন্ত সুযোগ থাকবে আপিল করার জন্য। ২৪ আগস্ট যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত