চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও এলাকার রিকশাচালক মাহবুবুল আলম ও নাসিমা বেগম দম্পতির সন্তান আল আমিন (১৪)। স্কুল ফাঁকি দেওয়ার কারণে বাবার বকা খেয়ে ৮ জুলাই পালিয়ে যায় ঢাকায়। ১২ দিন নিখোঁজ থাকার পর বাবা মায়ের কাছে গুলিবিদ্ধ হয়ে ফিরেছে আল আমিন। ২১ জুলাই ঢাকার মৌচাক এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে সংঘর্ষের মাঝখানে পড়ে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয় আল আমিন।
জানা গেছে, নগরীর চান্দগাঁও বাহির সিগন্যাল এলাকার একটি বাসায় থাকেন রিকশাচালক বাবা মাহবুব আলম ও নাসিমা বেগম দম্পতি। তাদের সন্তান আল আমিন চান্দগাঁও ইডেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। ৮ জুলাই বাবার বকা খেয়ে কোচিংয়ে যাওয়ার কথা বলে সে তার সহপাঠী মাহফুজকে নিয়ে ৮ জুলাই পালিয়ে যায়। এরপর থেকে আর বাসায় ফেরেনি আল আমিন। ১২ দিন পর আল আমিন সন্ধান মেলে ঢাকার সাইনবোর্ড এলাকায়। পরিবারের কাছে আসা অপরিচিত ফোনে জানানো হয়, গুলিবিদ্ধ হয়ে আল আমিন হাসপাতাল আছে। এরপর চট্টগ্রাম থেকে ২১ জুলাই রাতে কারফিউয়ের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে তাকে চট্টগ্রামে ফিরিয়ে আনেন রিকশাচালক বাবা মাহবুব আলম ও মামা মো. রাসেল। সঙ্গে নিয়ে আসা হয় তার বন্ধু মাহফুজকেও। ২২ জুলাই ভোরে আল আমিনকে ভর্তি করা হয় চমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগে। ২৪ জুলাই দুপুরে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। মা নাসিমা বেগম বলেন, আল আমিন নিখোঁজ হওয়ার পর চান্দগাঁও থানায় জিডি করা হয়েছিল। ঢাকায় গিয়ে কয়েলের কারখানায় আল আমিন ও মাহফুজ চাকরি করছিল। আল আমিনের বাবা মাহবুব আলম বলেন, আল আমিনকে পড়ালেখার জন্য বকাবকি করার কারণে সে বন্ধুকে নিয়ে ঢাকায় পালিয়ে যায়। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে তার পায়ে ছিটা গুলি লেগেছে। তবে তার বন্ধু সুস্থ আছে। ছেলে এখনো হাঁটতে পারছে না।