চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর এলাকায় একটি ভবন থেকে ছাত্রলীগ কর্মীদের ফেলে দেওয়ার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। শনিবার ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি রুজু হয়। এতে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০-৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ নিয়ে চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় মোট ২০টি মামলা হয়েছে।
গত ১৬ জুলাই নগরীর মুরাদপুর এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র-যুবলীগের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ মুরাদপুর মোড়ের একটি ভবনে আশ্রয় নেয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা সেখানে হামলা করলে ছাত্রলীগ কর্মীরা পাঁচ তলা ভবনের ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার চেষ্টা করে। এ ছাড়া তাদের ভবন থেকে ফেলে দেওয়া সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুক-ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে গতকাল জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে কাটা আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলা পুলিশ ১০ জন ও নগর পুলিশ ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করে। তিনি জানান, ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলার ১১টি থানায় গত ১৬ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ৩৮১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) কাজী তারেক আজিজ বলেন, নগরে নাশকতার ঘটনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোট ২০টি মামলায় নগর পুলিশ ৫১৬ নাশকতাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।