আজ ১০ মে বিশ্ব মা দিবস। কারো কারো হয়তো দিনটির কথা মনেই থাকে না। কিন্তু মনে রাখতে হবে দিনটি কি মাকে নিয়ে। তবে কর্মব্যস্ততার মাঝে ভুলে থাকাটা স্বাভাবিক। আবার মায়ের জন্য প্রতিটি দিনই ভালোবাসা থাকা স্বাভাবিক। তারপরও আজকের দিনটি বিশেষ বলে কথা। তাহলে বিশেষ দিনটিতে কিছু কি করছেন মায়ের জন্য? বড় কোনো আয়োজনের হয়তো দরকার পড়বে না। ছোট্ট কিছু কাজ বা উপহারের মাধ্যমেই মায়ের প্রতি ভালেবাসা ব্যক্ত করতে পারেন। নিচে মায়ের প্রতি ভালোবাসার ইঙ্গিত হিসেবে তেমনই কয়েকটি উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো :
ছুটি দিন মাকে : পরিবারের কর্ত্রীকে মাকে কখনো সকালে ঘুম থেকে ডেকে তুলতে হয় না বা কোনো কাজের কথা বলে দিতে হয় না। সেই সাত সকাল থেকে পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জন্য আলাদা করে সব কাজ মা একাই করতে থাকেন মধ্যরাত পর্যন্ত। এই স্পেশাল দিনটিতে মাকে একটু ছুটি দিন। তাকে আরাম করতে দিয়ে রান্নাবান্না ঘরের কাজ এগুলো পরিবারের সকলে মিলে হাতে হাতে সেরে ফেলুন।
রান্না করুন মায়ের পছন্দের খাবার : প্রতিদিন রান্না করা কতটা যন্ত্রণার তা বলে দিতে হয় না কাউকে। সব থেকে সত্য কথা হচ্ছে নিজে রান্না করলে খাওয়ার রুচি থাকে না তেমন এবং সেইসঙ্গে নিজের রান্নাও তেমন ভালো লাগে না খেতে। তাহলে একটি কাজ করুন মাকে নিজেরাই রান্না করে খাওয়ান। স্বাদে মায়ের ধারে কাছে না গেলেও মায়ের মুখের হাসিতেই বুঝতে পারবেন আপনি ধন্য।
মাকে নিয়ে কোথাও বেড়াতে যান : যারা গৃহিণী তাদের সত্যিকার অর্থেই বাইরে একটু কমই যাওয়া হয়ে থাকে। বিশেষ দরকার ছাড়া বাইরে বের হন না। তাই এই বিশেষ দিনটিতে মাকে নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন মায়ের পছন্দের কোনো স্থান অথবা এমন কোনো আনন্দের স্থান যা মায়ের মুখে এক টুকরো হাসি এনে দিতে পারবে।
উপহার : মায়ের কি পছন্দ একবার ভেবে দেখুন তো? মায়ের পছন্দকেই সামনে রেখে ছোট্ট কিছু উপহার কিনে ফেলুন। যদি আর কিছু না পান তাহলে বাসায় ফেরার পথে একটি ফুল নিয়েই ফিরুন। এতেই মা অনেক বেশি খুশি হবেন।
মায়ের সাথে সময় কাটান : সারাদিন কাজের মাঝে ব্যস্ত থেকে মাকে কতোটা সময় দিতে পারেন একবার ভেবেছেন কি? দিনশেষে বাসায় ফিরে নিজের কাজেই ব্যস্ত হয়ে যান আবার। এই স্পেশাল দিনটিতে মাকে অন্য কিছু না হোক মায়ের সঙ্গে সময় কাটিয়ে তাকে যে আপনি কতোটা ভালোবাসেন তা প্রকাশ করুন। সময়ের চাইতে বড় উপহার কিছু আর কোনো কিছুই নেই। যদি আপনি পরিবার থেকে দূরে থাকেন, আপনার ভালোবাসামাখা ফোনই যথেষ্ট।
বিডি-প্রতিদিন/১০ মে ২০১৫/শরীফ