একটা সময় ছিল বেশির ভাগ নারী-পুরুষ পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি গোপন রাখাতেই সাচ্ছন্দ বোধ করতেন। সেদিন এখন আর নেই! এখন পরকীয়ার সমস্যাটি নিয়ে খোলামেলা এগোচ্ছেন নারী-পুরুষ। যেহেতু একের স্ত্রীর সঙ্গে অন্যের স্বামী বা অবিবাহিত পুরুষের সঙ্গে বিবাহিত নারী বা বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে অবিবাহিত নারীর অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি বেড়ে যাচ্ছে। তাই এখন বাধ্য হয়েই পরকীয়ায় ভুক্তভোগীরা থেরাপিস্ট বা বিশেষজ্ঞদের দ্বারস্থ হচ্ছেন।
সম্প্রতি ভারতে ক্রমবর্ধমান পরকীয়া প্রেমের ঘটনা নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায়ও রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। চেন্নাইয়ের মনোবিজ্ঞানী ড. লক্ষ্মী ভিজেকুমার জানান, প্রায় প্রতি সপ্তাহেই এমন জুটিরা অনৈতিক সম্পর্কে সমস্যা নিয়ে মনোবিজ্ঞানীদের কাছে ছুটছেন। অথচ এক যুগ আগেও এমন বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত হলেও জুটিদের মানসিকতা একই ধরনের থাকতো কিংবা তারা গোপনীয়তা ধরে রাখতেন।
ভারতের মুম্বাইয়ের ম্যারেজ কাউন্সিলর সীমা হিঙ্গোরানি জানান, গত পাঁচ বছর আগেও তিনি প্রতিমাসে এমন তিন জোড়া প্রেমিক-প্রেমিকার জটিলতা নিরসনের চেষ্টা করতেন। কিন্তু এখন প্রতিমাসে তার কাছে আসে প্রায় ১০ জোড়া নারী-পুরুষ। যারা আসেন তারা নিজেদের পরিচয়টা সাধারণত এভাবে দেন, এটা আমার প্রেমিকা, স্ত্রী নন।
সাধারণত কর্মক্ষেত্রে বিবাহিতরা সহকর্মীদের সঙ্গে এমন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তারা থেরাপিস্টদের কাছে আসেন তাদের সমস্যা নিয়ে। একজন হয়ত শারীরিক সম্পর্কটাকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন। অন্যজন আবেগকে বেশি কাজে লাগাচ্ছেন, এমনটি বললেন ড. ভিজেকুমার।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার