বিএনপির ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ‘বিএনপির নেতারা বেশি লাফায়। কোথাও নড়াচড়া দেখে তারা মনে করে, এই তো সুযোগ।’
শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কসবা টি. আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে আয়োজিত পৌর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন আমাদের জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন করার কাজে লিপ্ত ছিলাম, তখন রাতের বেলা আপনারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে খুন করতে পেরেছিলেন। সেই সুযোগ আর পাবেন না, জনগণ সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আপনাদের ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে জনগণ।’
‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশ ছিল রাজাকার-আল শামসদের ঘাঁটি। তারা দেশটাকে চালাত। যারা মা-বোনদের ইজ্জত নিয়েছে, বাবা-ভাইকে হত্যা করেছে, তারা বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে মন্ত্রিত্ব করেছে। আর বলেছে, বাংলাদেশ তো ভিক্ষা না করলে চলবে না। তারা গেছে ইউরোপে ভিক্ষার থলি নিয়ে। সেই থলি যতক্ষণ না ভরত, ততক্ষণ বাংলাদেশের বাজেট ঘোষণা দেওয়া হতো না। যদি দুই মিলিয়ন ডলার দিত, তাহলে বাংলাদেশের বাজেট হতো দুই দশমিক এক মিলিয়ন ডলার। এই টাকা এনে ওনাদের পকেট আর ভ্যানিটি ব্যাগ ভরত। শেখ হাসিনা আসার পর বাংলাদেশ উন্নয়ন দেখেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়নের সব সূচকে এগিয়ে আছে। বাংলাদেশ যে সারাবিশ্বের অনেক দেশ থেকে ভালো আছে, যারা পাকিস্তানপ্রেমী এটা তাদের পছন্দ হয় না। তারা চায় বাংলাদেশকে দাবায়ে রাখতে। কিন্তু তারা জানে না, বাংলাদেশের জনগণকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। শেখ হাসিনা ক্ষমতা থাকায় দেশের মর্যাদা বেড়েছে। জনগণ উন্নয়ন দেখছে। আগামী জুন মাসে পদ্মা সেতু দিয়ে আমরা দক্ষিণ বাংলায় যাবো। ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছে।’
কসবা পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হান্নান রতন, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া, কসবা পৌরসভার মেয়র গোলাম হাক্কানী, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন ভূঁইয়া ও কাজী আজহারুল ইসলাম, উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান মনির হোসেন, সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আব্দুল আজিজ, ছাত্রলীগ আহ্বায়ক আফজাল হোসেন রিমন প্রমুখ। এসময় উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে সভাপতি পদে ৪ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১০ জন প্রার্থী ছিলেন। তবে সম্মেলনে নতুন কমিটি ঘোষণা দেয়া হয়নি। আইনমন্ত্রী এককভাবে নতুন কমিটি আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ করবেন বলে জানানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ