স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেছেন, ‘বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে আগত মুসল্লিদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। র্যাব, পুলিশ, কিউআরটি ও আনসারসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ময়দানের চারপাশে নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়াও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ময়দানের কাজে সহযোগিতা করছেন। বিশেষ করে এবার বিদেশি মেহমানদের জন্য নিরাপত্তাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় ইজতেমা ময়দান সংলগ্ন বাটা রোডে বিশ্ব ইজতেমা প্রস্তুতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত ফলো আপ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমপর্বে আগত বিদেশি মুসল্লিরা আখেরি মোনাজাতের পর বিমানবন্দর হাজীক্যাম্পে অবস্থান করবেন। দ্বিতীয় পর্বে যারা অংশ গ্রহণ করবেন তারা ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নিবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইজতেমা আয়োজক কমিটির দু’পক্ষের সাথে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি তাদের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি হবে না। সফলভাবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা সম্পন্ন হবে। ইতিমধ্যে ইজতেমা ময়দানের প্রস্তুতিকাজের ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে বাকী কাজ সম্পন্ন হবে।’
এসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব মো. মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন, ইজতেমার মুরুব্বী প্রকোশলী মাহফুজ ও মিজানুর রহমান প্রমুখ।
এদিকে, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) আসাদুর রহমান কিরণ বলেন, আগত মুসল্লিদের সেবায় সিটি কর্পোরেশন এর পক্ষ থেকে মশা নিধন, ব্লিচিং ছিটানোসহ সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে। ইজতেমা ময়দানে আখেরি মোনাজাত শেষে সকল বর্জ্য নিষ্কাশনে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক