রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাত করে বিরোধী দল নেতা খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির এমপিরা। এ সময় রাষ্ট্রপতি বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন বলে বিএনপি এমপিদের আশ্বস্ত করেছেন। শুক্রবার বিকেল চারটায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিএনপি এমপিদের এই সাক্ষাৎ অনু্ষ্ঠিত হয়।
চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ, এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান, নাজিমউদ্দিন আহমেদ, রেহেনা আক্তার রানু, সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, নিলুফার চৌধুরী মনি ও রাশেদা বেগম হিরা এমপি।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ‘বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার নাকি গৃহবন্দী—এ বিষয়টি জাতির সামনে স্পষ্ট করার জন্য আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছি। তিনি বলেছেন, তিনি এ ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন।’
ফারুক বলেন, ‘আমরা গতকাল মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছিলাম। তিনি আমাদের সময় দিয়েছেন। আমাদের মধ্যে ৪৪ মিনিট কথা হয়েছে। গতকাল স্পিকারের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছি।‘
তিনি বলেন, ‘বিরোধী দল নেতা খালেদা জিয়া কি গ্রেফতার না গৃহবন্দি তা এখনও স্পষ্ট করেনি সরকার। বিএনপির কোনো শীর্ষনেতা বিরোধী নেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না। ওনার বাড়ির চারপাশে বালির ট্রাক। বাড়ি ঘিরে স্তরে স্তরে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে বিষয়টি জানতে চেয়েছি।‘ তিনি বলেন,‘আমরা রাষ্ট্রপতিকে মৌলিক অধিকারের কথা বলেছি। রাষ্ট্রপতি বলেছেন সংবিধানে মৌলিক অধিকারের কথা রয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে রাষ্ট্রপতি এ ব্যাপারে সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন বলেও সাংবাদিকদের জানান ফারুক।
এ সময় নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে কিছু বলতে অস্বীকার করে জয়নুল আবদিন ফারুক জানান, ‘এ ব্যাপারে ১৮ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে কথা বলা হবে’।এছাড়া নির্বাচনের প্রতিবাদে ১৮ দলের অবরোধ আন্দোলন চলবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে শুক্রবার বেলা সোয়া তিনটায় বঙ্গভবনে এসে পৌঁছান বিএনপির এমপিরা। বেলা চারটায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তাদের বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক চলে পৌনে পাঁচটা পর্যন্ত।