কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা মৌজায় পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ না করায় চার সচিবসহ ১২ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এরা হলেন- পরিবেশ ও বনসচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারি, ভূমিসচিব মোখলেছুর রহমান, গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব গোলাম রাব্বানী, বেসামরিক বিমান ও পর্যটনসচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. মাকসুদুল হাসান খান, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রাইসুল আলম মন্ডল, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন, পুলিশ সুপার মো. আজাদ মিয়া, কক্সবাজারের সংরক্ষিত ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার সরকার আব্দুল আওয়াল, কক্সবাজারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শহীদুল ইসলাম ও পরিবেশ অধিদপ্তরের (চট্টগ্রাম বিভাগ) পরিচালক মো. জাফর আলম।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আদালত অবমাননার অভিযোগে করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে রুল দেন।
আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন তাদের বিরুদ্ধে কার্যক্রম শুরু করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে ১২ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ঝিলংজা মৌজার মোট ১২৪ দশমিক ৩৫ একর রক্ষিত বন ও ঘোষিত পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা থেকে ৫১ একর বনভূমিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জন্য আবাসিক প্রকল্প গড়ে তোলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ২০০৬ সালে একটি রিট করে। চূড়ান্ত শুনানির পর ২০১১ সালের ৮ জুন হাইকোর্ট রায় দেন।
আদালত সেখানকার পাহাড় বা পাহাড়ের কোনও অংশ না কাটতে, রক্ষিত বন এলাকায় কোনওরকম প্লট বরাদ্দ না দিতে এবং বন ধ্বংস না করতে নির্দেশ দেন। এরপরও সেখানে আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ভবন নির্মাণের কার্যক্রম চলছে উল্লেখ করে গত ২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আদালত অবমাননার আবেদন করে। শুনানি নিয়ে আদালত আজ রুল দেন।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইকবাল কবির। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। তাই আদালত অবমাননার আবেদনটি করা হয়। আদালত চার সচিবসহ ১২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রুল দিয়েছেন।