যুক্তরাষ্ট্রের বাতিল করা অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য-সুবিধা (জিএসপি) ফিরে পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে বলে মনে করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা।
আজ বুধবার তৈরি পোশাক খাতের উন্নয়ন-বিষয়ক থ্রি প্লাস ফাইভের এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
থ্রি প্লাস ফাইভের সভায় যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), কানাডা ও স্পেন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও শ্রম মন্ত্রণালেয়র প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সভায় পাঁচ দেশের রাষ্ট্রদূত ও তিন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
মজীনা বলেন, এই কমিটি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের উন্নয়নে কাজ করছে। তারা বাংলাদেশকে বহির্বিশ্বে একটি গ্রহণযোগ্য ব্র্যান্ডে পরিণত করতে ভূমিকা রাখবে।
পোশাক খাতের কারখানাগুলোকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা, কারখানা ভবন, অগ্নিনিরাপত্তা, শ্রম অধিকার- এসব বিষয় নিয়ে বৈঠকে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, গত বছর জিএসপি বাতিল হওয়ার পর ১৬টি শর্ত দিয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা দেওয়া হয়েছিল। সেগুলোর অগ্রগতি হয়েছে, তবে কিছু চ্যালেঞ্জ এখনও রয়ে গেছে।
আগামী এপ্রিলে রানা প্লাজা ধসের প্রথম বর্ষপূর্তি। এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাতের সার্বিক উন্নয়নে কী করেছে, তা সবাই জানতে চাইবে বলে ড্যান ডব্লিউ মজীনা মন্তব্য করেন।