বিদ্যুতের মূল্য গড়ে ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। ৫টি বিতরণী সংস্থা ও কোম্পানির প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার এ মতামত দেয় বিইআরসি। বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানো নিয়ে রাজধানীর কাওরান বাজারের টিসিবি ভবনে বিইআরসি কার্যালয়ে গত মঙ্গলবার থেকে টানা তিন দিনের গণশুনানি আজ শেষ হয়েছে।
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (পিডিবি), ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) ও বাংলাদেশ রুরাল ইলেক্ট্রিফিকেশন বোর্ড (বিআরইবি) গড়ে বিদ্যুতের মূল্য ১৫ দশমিক ২৪ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। তাদের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে মূল্যায়ন কমিটি ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ শতাংশ বাড়ানো যেতে পারে বলে মত দেয়।
বিইআরসির চেয়ারম্যান এ আর খানের সভাপতিত্বে কমিশন সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ, প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন ও মো. মাকসুদুল হক শুনানি গ্রহণ করেন। গণশুনানিতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, ভোক্তা ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বিতরণ কোম্পানি ডিপিডিসির বিদ্যুতের দাম গড়ে ২৩ দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ, ডেসকোর ১৫ দশমিক ৯০ শতাংশ প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২ দশমিক ০১ শতাংশ, পিডিবির ১৫ দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ, ওজোপাডিকোর ৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৭ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং বিআরইবির ১২ দশমিক ৫৮ শতাংশ মূল্য বাড়ানের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ করে বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি।
বিইআরসির চেয়ারম্যান এ আর খান বলেন, গণশুনানিতে যারা অংশ নিয়েছেন সবার বক্তব্যকেই গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। সবার যুক্তিতর্ক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জনসাধারণের অধিকার ও সাধ্যের কথা বিবেচনায় এনে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যত দ্রুত সম্ভব এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।
বিইআরসির সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, শুনানি শেষে বর্ধিত মূল্য নির্ধারণ করা হবে। এটি চলতি মার্চ মাস থেকেই কার্যকর হবে।