ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আরো দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন গতকাল রাতে বগুড়ায় ট্রাকে পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হয়েছিলেন। নিহত অন্যজন জাকির হোসেনের (১৩) বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। তার দগ্ধ হওয়ার কারণ সম্পর্কেও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি পুলিশ।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক জানান, বগুড়ায় পেট্রোল বোমায় দগ্ধ ট্রাক চালকের সহকারী আব্দুর রহিম আজ সকাল সোয়া ১০টার দিকে মারা যান। বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়ার সদর উপজেলার নুনগোলা এলাকায় হামলায় আহত হওয়ার পর ভোররাত ৪টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়েছিল বলে জানান তিনি। আগুনে রহিমের শরীরের ৩৯ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এর আগে রাত সাড়ে ১২টার দিকে বার্ন ইউনিটে মৃত্যু হয় শিশু জাকিরের। তার বাবা-মার পরিচয় ও ঠিকানা পাওয়া যায়নি। সাভারের গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাত ১২টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসে বলে পরিদর্শক মোজাম্মেল জানান। শিশুটির শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়েছিল। গুরুতর আহত অবস্থায় গত ১৩ জানুয়ারি কয়েকজন তাকে তাদের ওখানে নিয়ে যায় বলে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক পরমেশ্বর মাহতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নয়ন নামের এক ব্যক্তি ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিশুটিকে তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
“নয়ন তার কোনো আত্মীয় নন। কয়েক ব্যক্তি সাভার বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি থেকে শিশুটিকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ফেলে যাওয়ার পর তিনি তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন বলে নয়ন জানান।” শিশুটির লাশ ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে সাভার থানার ওসি মোস্ফা কামাল বলেছেন, জাকিরকে হাসপাতালে নেওয়ার দিন সাভার থানা এলাকায় কোনো গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেনি। শিশুটি কীভাবে দগ্ধ হয়েছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ৫ জানুয়ারি সারা দেশে লাগাতার অবরোধ ডাকার পর প্রতিদিনই গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় এরইমধ্যে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৩ জানুয়ারি ২০১৫/শরীফ