যুক্তরাষ্ট্রে স্টুডেন্ট ও অন্যান্য ভিসার আবেদনকারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তথ্য যাচাইয়ের জন্য আবেদনকারীদের প্রোফাইল পাবলিক করে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘যেসব ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে ভিসার জন্য আবেদন করছেন, তাদের সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টের গোপনীয়তা সেটিংস “পাবলিক” করতে অনুরোধ করা হচ্ছে। এটি তাদের পরিচয় যাচাইয়ের প্রক্রিয়াকে সহজ করবে।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও কিছুদিন আগে বিদেশে অবস্থানরত মার্কিন কূটনীতিকদের একটি নির্দেশনা দেন, যেখানে বিদেশি ভিসা আবেদনকারীদের সোশ্যাল মিডিয়া তৎপরতা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণের কথা বলা হয়। এর অংশ হিসেবেই এই নতুন নির্দেশনা জারি হয়েছে।
এপ্রিলে মার্কো রুবিওর নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, ‘মার্কিন ও ইসরায়েলবিরোধী মনোভাবসম্পন্ন আবেদনকারীদের ভিসা না দেওয়ার জন্য প্রতারণা প্রতিরোধ ইউনিটের মাধ্যমে আবেদনগুলো যাচাই করা হবে।’
এ বিষয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, ‘বিশেষ করে যারা গাজা যুদ্ধবিরোধী বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি স্বাক্ষরিত একটি নির্বাহী আদেশে উল্লেখ করেছেন, ‘যেসব বিদেশির মার্কিন সংস্কৃতি, প্রতিষ্ঠান বা মূলনীতির প্রতি বৈরী মনোভাব থাকতে পারে, তাদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা হবে।’
আরেকটি নির্বাহী আদেশে “বিরোধী মনোভাবসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের” যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের কথাও বলা হয়েছে।
ভিসা যাচাইয়ের কাজে সহায়তার জন্য প্রতারণা প্রতিরোধ ইউনিট দূতাবাস বা কনস্যুলেটের কনস্যুলার শাখার অংশ হিসেবে কাজ করে। এবার তাদের দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি বাড়াতে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক