ইরানের পারমাণু কর্মসূচি ঘিরে আরোপ করা আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা স্থায়ীভাবে তুলে নেওয়া সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাভুটিতে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বর এই সংক্রান্ত ভোটাভুটি হয় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠকে। এই সিদ্ধান্তের ফলে ইরানের অর্থনীতির জন্য বড় আঘাত হিসেবে মনে করা হচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল জাজিরা।
এদিকে, রাশিয়া ও চীন খুব শিগগিরই একটি যৌথ উদ্যোগ উপস্থাপন করবে ইরানের পারমাণবিক ইস্যু সমাধানে। ভিয়েনায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে রাশিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি মিখাইল উলিয়ানভ এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন। মিখাইল উলিয়ানভ বলেন, ইরানের পারমাণবিক ইস্যু সমাধানে যৌথভাবে একটি নতুন উদ্যোগ উপস্থাপন করতে যাচ্ছে রাশিয়া ও চীন।
তিনি ইউরোপীয় দেশগুলোর সমালোচনা করে বলেন, তাদের পদক্ষেপ এই ইস্যুটিকে রাজনৈতিক রূপ দিয়েছে, কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে দুর্বল করেছে এবং আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) ও ইরানের মধ্যে সহযোগিতার মাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। মিখাইলের এই মন্তব্য এমন সময়ে এলো, যখন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি, যা ‘জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ)’ নামে পরিচিত- অনুযায়ী ইরানের ওপর থেকে উঠিয়ে নেওয়া নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের বিষয়ে ভোটাভুটির প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি তথাকথিত ‘স্ন্যাপব্যাক মেকানিজম’ সক্রিয় করার পক্ষে চাপ দিচ্ছে। তাদের অভিযোগ, ইরান তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি।
জেসিপিওএ-এর বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া অনুযায়ী, কোনো পক্ষ যদি দাবি করে ইরান চুক্তি ভঙ্গ করেছে, তাহলে তারা ২০০৬ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে গৃহীত নিরাপত্তা পরিষদের ছয়টি পূর্ববর্তী প্রস্তাব পুনর্বহালের দাবি করতে পারে।
এ ব্যাপারে ইরান জানিয়েছে, ইউরোপীয়রা এই প্রক্রিয়া সক্রিয় করতে পারে না, কারণ তারাই প্রথম চুক্তি ভঙ্গ করেছে—২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার পর ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল তারা। সূত্র: মেহের নিউজ, আল জাজিরা।
বিডি প্রতিদিন/এএম