জয় দিয়ে এশিয়া কাপ সুপার ফোর শুরুর লক্ষ্য নিয়ে রাতে শ্রীলংকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
শনিবার রাত সাড়ে আটটায় দুবাই ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচটি।
গ্রুপ পর্বে ৩ ম্যাচে ২ জয় ও ১ হারের পরও সুপার ফোর নিশ্চিত ছিল না বাংলাদেশের। তাকিয়ে থাকতে হয়েছে আফগানিস্তান ও শ্রীলংকার মধ্যকার ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচের দিকে। সমীকরণ ছিল-ম্যাচে আফগানরা হারলেই সুপার নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের।
‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারায় শ্রীলংকা। এতে সুপার ফোর নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলা আফগানিস্তানের বিদায়ে এশিয়া কাপের ১৭তম আসরের ফাইনালে ওঠা এবং প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়ে সুযোগ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের।
ফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় পাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই পর্বে দুই পয়েন্ট কম নিয়ে খেলতে নামবে টাইগাররা।
গ্রুপ পর্বের পয়েন্ট সুপার ফোরে বিবেচ্য হবে। গত দুই মাসে চারবার শ্রীলংকার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। সঙ্গত কারণেই সাম্প্রতিক সময়ে লংকানদের সর্ম্পকে ভাল ধারণা আছে টাইগারদের।
মাত্র দুই মাস আগে শ্রীলংকার মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এবারের আসরে গ্রুপ পর্বে এই শ্রীলংকার কাছেই ৬ উইকেটে হেরেছিল লিটন দাসের দল।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ২১ ম্যাচের মোকাবেলায় বাংলাদেশ জিতেছে ৮টি, শ্রীলংকা ১৩টি।
এশিয়া কাপে ১৮ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা। এরমধ্যে লংকানদের জয় ১৫টিতে এবং হার তিনটিতে। তবে এশিয়া কাপে টি-টোয়েন্টিতে সংস্করণে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনবারের মোকাবেলায় দু’বার জয় ও একবার হেরেছে লংকানরা।
সংক্ষিপ্ত ভার্সনে প্রথমবার অনুষ্ঠিত ২০১৬ এশিয়া কাপ শ্রীলংকার বিপক্ষে ২৩ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। ২০২২ সালে এশিয়ার কাপ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে দুই উইকেটে হারিয়ে প্রতিশোধ নিয়েছিল লংকানরা। আসরে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লংকানরা।
আজকের ম্যাচে বাংলাদেশ কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। কারণ ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে তীব্র গরম আবহাওয়ায় দু’টি ম্যাচ খেলতে হয়েছে শ্রীলংকাকে। পাশাপাশি টাইগারদের বিপক্ষে খেলতে আবু ধাবি থেকে দুবাই যেতে হবে লংকানদের।
পক্ষান্তরে, গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পর চার দিন বিশ্রাম পায় বাংলাদেশ। এছাড়াও আরও একটি বিষয় হল, সুপার ফোরে দুবাইয়ের উইকেটে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। গ্রুপ পর্বে সব ম্যাচই আবু ধাবির ধীর গতির উইকেটে খেলেছে লিটন-জাকেররা। এখন দেখার বিষয়, দুবাইয়ের স্পোর্টিং উইকেটে কীভাবে নিজেদের মানিয়ে নেয় টাইগাররা।
তবে গেল ৭ বছরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যেভাবে লড়াই জমিয়ে তুলেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা, তাতে জয়ের সম্ভবনা রয়েছে টাইগারদেরও। সেক্ষেত্রে ব্যাট হাতে ভালো করতে হবে টপ অর্ডারদের। দায়িত্ব নিতে হবে মিডলঅর্ডারে খেলা তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক ও শামীম হোসেনদের। বল হাতে কারিশমা দেখাতে হবে মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও নাসুম আহমেদদের।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
তানজিদ হাসান তামিম, সাইফ হাসান, লিটন দাস (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, নুরুল হাসান, জাকের আলী, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত