ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার বড্ডাপাড়া–কুচনী সড়কের কুচনী নোয়াবাড়ি সংলগ্ন সরু সেতুটি বর্তমানে এলাকাবাসীর জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় দুই দশক আগে নির্মিত এ সেতুটি তখন প্রয়োজনীয় হলেও বর্তমানে এটি অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
সেতু নির্মাণের আগে এলাকাবাসী নৌকায় পারাপার করলেও বর্তমানে সেতুর নিচের জলমগ্ন অংশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সেতুটি দিয়ে পানি নিষ্কাশনের কোনো সুযোগ নেই। এ অবস্থায় এলাকাবাসীর দাবি, সেতুটি ভেঙে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করলে দুর্ভোগ লাঘব হবে।
মাত্র ছয় ফুট প্রস্থের এ সেতুতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, সিএনজি ও মোটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়ছে। একইসঙ্গে দুটি রিকশা বা অটোরিকশা পারাপার সম্ভব নয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হান্নান মিয়া, লিয়াকত আলী ও হীরা মিয়া বলেন, একসময় সেতুটি অত্যন্ত জরুরি ছিল। তখন এ সড়কে কোনো পরিবহন চলাচল করত না, মানুষ পায়ে হেঁটেই চলাচল করত। এখন সড়ক যোগাযোগ চালু হলেও সরু সেতুটি যানবাহনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ বলেন, সেতুর নিচে আগে জলাশয় ছিল, এখন তা ভরাট হয়ে গেছে। ফলে সেতুটি আর কার্যকর নয়। এ কারণে প্রায় ছয় মাস আগে সেতুটি ভাঙার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।
সরাইল উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান ভুইয়া বলেন, সেতুটির বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল