নদীবেষ্টিত হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত বরিশাল-৪ আসন বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে আছেন সাত নেতা। তাঁরা হলেন উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক দেওয়ান মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, সাবেক সংসদ সদস্য এম মেজবাহউদ্দিন ফরহাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাবেক সহসভাপতি আবদুল খালেক হাওলাদার, বিএনপি নেতা হেলালউদ্দিন, ব্যারিস্টার এ এম মাসুম ও নৌপরিবহন উপদেষ্টার ভাই হেমায়েত হোসেন সোহরাব। এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন। তবে জামায়াতে ইসলামী বরিশাল জেলা আমির অধ্যাপক আবদুল জব্বার, ইসলামী আন্দোলন সহকারী মহাসচিব সৈয়দ এছাহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস অধ্যাপক রুহুল আমীন কামাল ও খেলাফত মজলিস মাওলানা জুবায়ের গালীবকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে। এ ছাড়া এনসিপি থেকে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন আবু মুসা। বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘বিএনপি বড় গণতান্ত্রিক দল। এ দলের প্রার্থী বেশি থাকবে। দল সেখান থেকে যোগ্য নেতাকে প্রার্থী করবে।’ তিনি বলেন, ‘বয়োজ্যেষ্ঠ একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জীবনের শেষ সময়ে জনগণের খেদমত করার সুযোগ চাই।’
স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান বলেন, ‘দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামে দেশে যে ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা বেশি হয়েছে, তার মধ্যে আমি ষষ্ঠ স্থানে রয়েছি। সবচেয়ে বেশি রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে আমাকে। জনসাধারণের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা রয়েছে। আশা করি দল আমাকে মূল্যায়ন করবে।’ এম মেজবাহউদ্দিন ফরহাদ বলেন, ‘২০০৮ সালের কঠিন সময়ে বরিশাল-৪ আসনে মনোনয়ন পেয়ে জয়ী হয়েছি। ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১৭ বছর ধরে বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির হাল ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। গুলিবিদ্ধও হয়েছি।’ তিনি আশাবাদী এবারও দল তাঁকে মনোনয়ন দেবে।
এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য আবু মুসা বলেন, ‘গণ অভুত্থানের শক্তি এনসিপি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিচার, সংস্কার, গণপরিষদ নির্বাচন ও নতুন সংবিধানের মাধ্যমে ৫৪ বছরের প্রত্যাশিত আকাক্সক্ষা পূরণ করবে।’