বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার আলোরকোলে সোমবার থেকে শুরু হওয়া সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহাসিক রাস উৎসবে ১০ হাজার পুণ্যার্থীর আগমন ঘটেছে। বঙ্গোপসাগরের তীরে ২০০ বছর ধরে চলে আসা এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে ঘিরে সুন্দরবনে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
এদিকে, রাস উৎসবে আগত তীর্থযাত্রীদের জন্য বনবিভাগ, কোস্টগার্ড, র্যাব, নৌ-পুলিশসহ চার স্তরের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখক সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। উৎসবস্থল ও আশপাশের ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড এই বনে টহল জোরদারের পাশাপাশি হরিণ ও বন্যপ্রাণি শিকাররোধ এবং বনদস্যু দমনেও নেওয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা।
কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, সুন্দরবনের দুবলার চরের রাস পূর্ণিমার পূজা ও পুণ্যস্নান উপলক্ষে তীর্থযাত্রী এবং দর্শনার্থীদের জানমালের নিরাপত্তায় কোস্টগার্ড সার্বক্ষণিক কাজ করছে। উৎসবকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে কোস্টগার্ডের একাধিক স্টেশন ও আউটপোস্টের সদস্য এবং ডুবুরি দল প্রস্তুত রয়েছে। রাস পূর্ণিমার পূজা ও পুণ্যস্নান উপলক্ষে আসা তীর্থযাত্রীদের কোনো ধরনের সমস্যা বা অন্য যে কোনো প্রয়োজনে দ্রুত সেবা পেতে ১৬১১১ এই জরুরি সেবা নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এবারের রাস উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা করি। এছাড়া সুন্দরবন ও উপকূলীয় এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের নিয়মিত টহল ও অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে উৎসবস্থলে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি হরিণ শিকার ও দস্যুদমনে বনবিভাগ, কোস্টগার্ড ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে। এ বছর রাস পূজায় সনাতন ধর্মের প্রায় ১০ হাজার তীর্থযাত্রী উপস্থিত হয়েছেন। বুধবার ভোরের সূর্যোদয়ের সময় সাগরের প্রথম জোয়ারের লোণা জলে পুণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে এই উৎসবের।
বিডি প্রতিদিন/এমআই