দীর্ঘদিনের নীতি থেকে সরে এসে যুক্তরাজ্য এই সপ্তাহের শেষের দিকেই ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চলেছে। শুক্রবারই এই ঘোষণা আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে লেবানন ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল মায়াদিন।
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের কোনো সমঝোতা হয়নি। পশ্চিম তীরেও ইসরায়েলের কার্যকলাপ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সম্ভাবনাকে ক্ষুণ্ন করছে বলে লন্ডন মনে করছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এই পদক্ষেপকে গাজা সংকটের সমাধানের একটি বৃহত্তর অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এর উদ্দেশ্য হলো একটি নিরাপদ ইসরায়েল এবং একটি কার্যকর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সহাবস্থান নিশ্চিত করা। তবে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, এই ধরনের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে হামাসের কোনো স্থান থাকবে না। হামাসকে 'সন্ত্রাসী' হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি তাদের নিরস্ত্রীকরণ ও ক্ষমতা থেকে বাইরে রাখার ওপর জোর দিয়েছেন। পাশাপাশি, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে এক বছরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের কারণে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাজ্য। ইসরায়েল যুক্তি দিয়েছে যে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া হামাসের মতো প্রতিরোধ গোষ্ঠীকে পুরস্কৃত করার শামিল। লন্ডন এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পদক্ষেপের সঙ্গে একমত নন। যদিও তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। তবে তিনি এই স্বীকৃতিকে 'সহায়ক নয়' বলে মনে করছেন। তা সত্ত্বেও, ট্রাম্প এই ইস্যুকে স্টারমারের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে দিতে চান না। কারণ তিনি মনে করেন এই স্বীকৃতি প্রতীকী এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তাকে দুর্বল করবে না।
এদিকে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাথে আলোচনার পর যুক্তরাজ্য তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল