এবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা যাচ্ছেন এক ভিন্ন আবহে। জাতিসংঘের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে ২১ সেপ্টেম্বর রবিবার রাতে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সফরে তাঁর সঙ্গে থাকবেন রাজনৈতিক দলের চারজন প্রতিনিধি। এর মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এবং এনসিপির আখতার হোসেন রয়েছেন। এটি বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে বিরল ঘটনা। ড. ইউনূস নিউইয়র্কে যাচ্ছেন ঐক্যের বাংলাদেশের প্রতীক হয়ে।
জুলাই বিপ্লব ছিল বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক এবং স্বৈরাচারবিরোধী রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের ফসল। জনতার সম্মিলিত শক্তি যে অপরাজেয় তার প্রমাণ। এ বার্তাটিই জাতিসংঘে নিয়ে গেলেন প্রধান উপদেষ্টা।
এমন একসময়ে ড. ইউনূস এ অনবদ্য সিদ্ধান্ত নিলেন, যখন জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিভক্তি আর অবিশ্বাস। জামায়াত এবং আরও কয়েকটি দল বিভিন্ন দাবিদাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে আবারও রাজপথে নেমেছে। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। রাজনীতিতে আবার ফিরে আসছে কাদা ছোড়াছুড়ির পুরোনো সংস্কৃতি এই বিভক্তি, অবিশ্বাস এবং অস্থিরতার মধ্যে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় দেশকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য এবং সমঝোতার ওপরই গুরুত্ব দিচ্ছেন না। জনগণের কাছে প্রকৃত পরিস্থিতি নির্মোহভাবে উপস্থাপন করছেন। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, একটি মহল ফেব্রুয়ারির নির্বাচন পেছাতে চাইছে।
এ সময়ে প্রধান উপদেষ্টা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছেন। এর ফলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে সৃষ্ট রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধ মীমাংসার এক অনন্য সুযোগ তৈরি হয়েছে।
প্রশ্ন হলো, একটি ইস্যু যখন আলোচনার টেবিলে, তখন সেই ইস্যুতে আন্দোলন শুরু করা কতটা যৌক্তিক?
জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ অভিন্ন কয়েকটি দাবিতে রাজধানীতে গত বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দল। আলোচনার টেবিল ছেড়ে গতকাল তারা পৃথকভাবে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। দলের কেউ পাঁচ দফা, কেউ ছয় দফা, কেউ সাত দফা কর্মসূচি ঘোষণা করলেও সবার মূল দাবি প্রায় একই। দলগুলোর অভিন্ন দাবি হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু, অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত, ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম ও গণহত্যা, দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
এসব সমাবেশ থেকে, অন্তর্বর্তী সরকার এসব দাবি না মানলে সমাবেশ থেকে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন দলগুলোর শীর্ষ নেতারা।
ডাকসু এবং জাকসু নির্বাচন জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিপুল বিজয়ের প্রেক্ষাপটে কেবল জামায়াত নয়, ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি চাঙাভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অন্যদিকে এ নির্বাচনে ছাত্রদলের বিপর্যয় বিএনপির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পর দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো এখন নির্বাচনের আগে নিজেদের রাজনৈতিক কৌশল নতুন করে সাজাচ্ছে। জামায়াত এবং সমমনাদের বিভিন্ন দলের আন্দোলনের কর্মসূচি সেই কৌশলেরই অংশ বলে মনে হচ্ছে। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন জামায়াত সমমনাদের নিয়ে একটি নির্বাচনি জোট সৃষ্টির চেষ্টা করছে, অন্যদিকে আলোচনার টেবিলে নিজেদের দাবির পক্ষে জনমত গড়ে তোলার জন্য সচেষ্ট। জামায়াত মুখে যাই বলুক না কেন, সারা দেশে প্রার্থী চূড়ান্ত করার কাজ করছে বেশ জোরেশোরে। যারা ইতোমধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সবুজ সংকেত পেয়েছেন, তারা তাদের নির্বাচনি এলাকায় কাজও শুরু করেছেন। ধারণা করা যায়, জামায়াত এবং তাদের মিত্ররা উত্থাপিত দাবির কিছু অর্জন করে নির্বাচনি কৌশলে নিজেদের এগিয়ে রাখতে চায়। জামায়াত আগামী নির্বাচনে উভয়কক্ষেই পিআর পদ্ধতির দাবি করছে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু হলেই জামায়াত সন্তুষ্ট হবে। তবে জামায়াত কোনোভাবেই জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগের জোট ১৪ দলকে নির্বাচনের মাঠে রাখতে চায় না। এখানে জামায়াতের হিসাব পরিষ্কার। জাতীয় পার্টি নির্বাচনের অযোগ্য হলে, তাদের প্রধান বিরোধী দল হওয়াটা নিশ্চিত। এমনকি শেষ পর্যন্ত যদি তারা ইসলামপন্থি রাজনৈতিক মোর্চা করতে পারে তাহলে ডাকসু, জাকসুর মতো অভাবনীয় ফলাফলও অসম্ভব নয় বলে মনে করেন অনেক জামায়াত নেতা। এ আন্দোলন তাই সরকারের বিরুদ্ধে নয়, নির্বাচন বানচালের জন্যও নয়। নির্বাচনি প্রচারণার একটি কৌশল। সাম্প্রতিক সময়ে, নানা কারণে অন্তর্বর্তী সরকারের জনপ্রিয়তা কমেছে। বিএনপিকে সরকারের পক্ষের- এটা মাঠের আন্দোলন দিয়ে জনগণের কাছে প্রমাণ করতে চায় জামায়াত। জামায়াতের পরিকল্পিত এবং সংগঠিত প্রচারণায় বিএনপি যে কিছুটা হলেও চাপে তা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় গত এক বছর ধরে জামায়াত নানা প্ল্যাটফর্মে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে প্রচার করতে পেরেছে যে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে যেভাবে চাঁদাবাজি এবং দখলের রাজনীতি করেছে বিএনপি ক্ষমতায় এলে সেই একই পথে হাঁটবে। গত এক বছরে বিএনপির কিছু অর্বাচীনের বিচ্ছিন্ন কর্মকাণ্ড জামায়াতের প্রচারণায় সুযোগ করে দিয়েছে। জামায়াত ২০১১ সাল থেকে ধীরে ধীরে সোশ্যাল মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এখানে বিএনপি জামায়াতের তুলনায় অনেক পিছিয়ে। জামায়াত তাই আগামী নির্বাচনে বিএনপির জন্য শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে সামনে এসেছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, ৫ আগস্টের পর থেকেই দলের নেতা-কর্মীদের এ ব্যপারে সতর্ক করে আসছিলেন। তার নির্দেশে বিএনপি দলের ভিতর চাঁদাবাজি, দখলদারি ও অন্যান্য অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে। কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে বিএনপি এই দৃঢ় অবস্থান ঠিকঠাক মতো পৌঁছাতে পারেনি। এ কারণেই চাঁদাবাজি এবং সব ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে দলটির শূন্য সহিষ্ণুতা অবস্থানের বিশদ বিবরণ তুলে ধরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেছেন, শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ইতোমধ্যে দলের ৭ হাজারের বেশি সদস্যের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান। তারেক রহমান বলেন, ‘দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অসদাচরণের অভিযোগের দায়ে কেউ পদচ্যুত হয়েছেন; আবার অনেকেই বহিষ্কৃত হয়েছেন। ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে জনগণের আস্থা অর্জনে কাজ করতে চাই। আমরা জনগণের আস্থা পুনর্গঠন করতে চাই।’ ৭ হাজার সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে তারেক রহমান আরও বলেন, ‘নিজেদের সদস্যদের দায়বদ্ধ করার মাধ্যমেই আবারও প্রমাণ হলো যে বিএনপি সততার ব্যাপারে আন্তরিক। বহুমুখী অপপ্রচারের মাঝেও এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ছিল না, তবে বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে এগুলো ছিল অপরিহার্য। শৃঙ্খলা কোনো দুর্বলতা নয়; বরং সেটিই আমাদের শক্তি।
তারেক রহমানের এই বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রকাশ। দলের পরিচয় ব?্যবহার করে যারা বিভিন্ন সময়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়, তাদের জন্য এটি একটি কঠোর বার্তা। তার চেয়েও বড় কথা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের এ বক্তব্য, সাধারণ জনগণের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস সৃষ্টি করবে। এ ধরনের বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনীতিতে একেবারেই নতুন সংস্কৃতি। অতীতে আমরা দেখেছি, নিজেদের দলের অপরাধীদের বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ নেওয়া হতো না। বিশেষ করে, বিগত ১৫ বছর ক্ষমতাসীনদের মধ্যে এ প্রবণতা ছিল প্রকট। তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিকে সেই অস্বীকারের সংস্কৃতি থেকে বের করে আনলেন। এটি ভবিষ্যতের রাজনীতিতে সুদূর প্রসারী প্রভাব ফেলবে। এর ফলে, চাঁদাবাজ, অপরাধী, দুর্বৃত্তদের রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। ইতিবাচক এবং সুস্থ রাজনীতির জন্য তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত হতে পারে একটি মাইলফলক।
জামায়াত এবং তার মিত্রদের আন্দোলনের কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপিও কর্মসূচি গ্রহণ করছে। ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক কারণে কোনো দলের সঙ্গে সংঘাত, সংঘর্ষ বা পাল্টা কর্মসূচিতে যাবে না বিএনপি, তার পরিবর্তে নির্বাচনকেন্দ্রিক চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটির হাইকমান্ড। এর মধ্যে থাকছে, প্রার্থী বাছাই, দলীয় ৩১ দফা তুলে ধরে ইতিবাচক কাজের প্রচার, ভোটারের মন জয় করতে বাড়ি বাড়ি যাওয়া, নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি প্রদান ও সময়োপযোগী নির্বাচনি ইশতেহার তৈরিতে মনোনিবেশ করতে চাইছে বিএনপি। নির্বাচনের আগে টানা চার মাস দলটি তাদের কর্মকাণ্ড নির্বাচনকেন্দ্রিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ফলে, নির্বাচনের আগে দেশে একটি নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক আবহ সৃষ্টি হতে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এটা গণতন্ত্রের এবং নির্বাচনের জন্য ইতিবাচক। কিন্তু আমাদের ভয় অন্য জায়গায়, শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি যেন কারও অতি উৎসাহে অশান্ত না হয়ে যায়। ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে আমরা যেন দেশের মানুষের স্বার্থকে জলাঞ্জলি না দিই। নিজের দলের সুবিধা হবে সেজন্য যেন আমরা দেশ এবং নির্বাচনকে অনিশ্চিত করে না তুলি। বিএনপি এবং জামায়াত-দুটি রাজনৈতিক দলই দায়িত্বশীল এবং গণতন্ত্রের পক্ষে বলেই আমরা বিশ্বাস করি। এই দলের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানই ৭৫-এর পর সব রাজনৈতিক দলকে বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন। ১৯৭২-এর পরে নিষিদ্ধ জামায়াত জিয়াউর রহমানের উদার গণতান্ত্রিক নীতির কারণেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরে আসে। ২০০১ সালে এই দুই দল একসঙ্গে সরকার গঠন করে। দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করতে দুই দলের অনেক অবদান আছে। দুই দলের নেতা-কর্মীদের অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আমরা আশাকরি গণতন্ত্রে উত্তরণে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ সব রাজনৈতিক দল দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে। রাজনৈতিক কৌশলের আন্দোলন যেন আত্মঘাতী না হয়। এই আন্দোলনের সুযোগে যেন পরাজিত শক্তি ফিরে আসতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। দলীয় স্বার্থে অনড় অবস্থান অনভিপ্রেত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। আন্দোলন না সমঝোতাই গণতন্ত্রে উত্তরণের একমাত্র পথ। প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ। তিনি প্রধান তিন দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। আমরা আশাকরি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ড. ইউনূস রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে সমঝোতার জন্য আলোচনা করবেন। ১৫ অক্টোবরের আগেই রাজনৈতিক দলগুলো দেশের স্বার্থে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পথ নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাবে। আমরা বিশ্বাস করি, জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী সব দলই দেশের স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দেবে।